ඣ টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার ঋষভ পন্তের প্রাণ বাঁচানো রজত এখন নিজেই লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। ২০২২-এর ডিসেম্বরে ঋষভ পন্ত যখন ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন, তখন দুই তরুণের প্রচেষ্টাতেই প্রাণে বেঁচে যান টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার। উল্টে যাওয়া গাড়ি থেকে রক্তাক্ত পন্তকে বার করে নিয়ে আসেন রজত কুমার ও নিশু।
🐭উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রজতরা তখনও জানতেন না যে, যাঁকে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে টেনে বার করলেন তাঁরা, তিনি টিম ইন্ডিয়ার সুপারস্টার ক্রিকেটার। রজতরাই পুলিশে খবর দিয়ে পন্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ꦜহাসপাতালে একটু ধাতস্থ হওয়ার পরে পন্ত জানান, দেবদূত হয়ে রজত আর নিশু তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছেন। ঋষভ আরও জানান যে, তিনি চির কৃতজ্ঞ থাকবেন তাঁদের কাছে। পরে রজত ও নিশুকে ২টি স্কুটার উপহার দেন পন্ত।
🍨সেই ঘটনার ২ বছর পরে এবার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন রজত। তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক একটি অভিযোগও উঠছে, যে অপরাধ তিনি করেননি বলেই দাবি করেছেন। রবিবার ২৫ বছরের রজত ও তাঁর বান্ধবী ২১ বছরের মনু কাশ্যপ একসঙ্গে বিষ পান করেন বলে খবর। ভিন জাতের দুই তরুণ-তরণীর সম্পর্ক পরিবারের স্বীকৃতি পায়নি।
🌟সম্পর্ক ভাঙার হতাশাতেই রজত ও তাঁর বান্ধবী একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে শোনা যায়। তাঁদের গ্রাম বুছা বস্তির এক বাসিন্দা দু'জনকে মাটিতে পড়ে ছটফট করতে দেখে বাকিদের খবর দেন। দুই পরিবারের লোকজন এসে উপস্থিত হওয়ার আগেই বড়সড় ক্ষতি হয়ে যায়। রজত ও মনুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
✃মনুর পরিবার তাঁদের মেয়েকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যান, যেখানে মঙ্গলবার ভোররাতে মৃত্যু হয় মনুর। রজতের পরিস্থিতিও খুব ভালো নয় এবং তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বলে খবর।
রজতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের
💝মনুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরেই তাঁর পরিবারের তরফে রজতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মনুর মা এক্ষেত্রে অভিযোগ করেন যে, রজত তাঁর মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন। রজত ও মনু সামাজিক বৈষ্যের শিকার হয়েছেন কিনা, সেটা বিবেচনার বিষয়, তবে যে গ্রাম একসময় রজতের সাহসিকতা নিয়ে গর্ববোধ করত, এখন ফিসফাস শুরু করেছে কেলেঙ্কারি নিয়ে।
🔯আরও পড়ুন:- IND vs ENG: ৩ ম্যাচের ODI সিরিজে সব থেকে বেশি রান গিলের, সেরা ৫-এ রয়েছেন কারা?
ꦗমুজাফফরনগরের এসপি সত্যনারায়ণ জানিয়েছেন যে, মনুর মা পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি এই বিষয়ে। পরে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রজত ও মনু খুবই বিষাক্ত একটি কীটনাশক পান করেন। তবে রজতের মধ্যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। প্রজ্ঞা হাসপাতালের ডাক্তার দীনেশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করি। মনুর পরিবার তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে রজত আমাদের নজরদারিদের সুস্থ হয়ে উঠছেন।’