লখনউ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলের 𓃲মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ২ ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ ডু'প্লেসির উইকেট হারায় আরসিবি। এলএসজি-র এই এই সাফল্যের নেপথ্যে আসল কারিগর হলেন দেবদূত পাডিক্কাল।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় আরসিবি। ৪.২ ওভারে এম সিদ্ধার্থের বলে কোহলি ক্যাচ তোলেন। বিরাটের দুরন্ত ক্যাচটি ধরেন দেবদূত পাডিক্কাল। ১টি ছয় ২টি চারের হাত ধরে ১৬ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। এর পর ৫.১ ওভা𝄹রে ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে ডাইরেক্ট হিটে রানআউট করেন পাডিক্কাল।
আরও পড়ুন: ১০৬ মিটার লম্বা ছক্কা পুরানের, বেরিয়ে গেল স্টেডিয়ামের বাইরে⛎, ছুঁলেন KKR তারকার নজির- ভিডিয়ো
মায়াঙ্ক যাদবের ১৫৩.২ কিমি গতির বলটিকে মিডউইকেটের দিকে খেলেই এক রান নিতে যান ফ্যাফ। ⛎তবে বলটি ধরেই দ্রুত ননস্ট্রাইকিং জোনের উইকেট লক্ষ্য করে ছোঁড়েন পাডিক্কাল। এক টিপে স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। তখন অনেকটাই বাইরে ছিলেন ফ্যাফ। পরিষ্কার রান আউট। ১𒅌৩ বলে ১৯ করে সাজঘরে ফেরেন আরসিবি অধিনায়ক। ৪২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ফ্যাফের টিম।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতেꦅ নেমে শুরুটা খারাপ করেনি এলএসজি। তারা ৫.৩ ওভারেই প্রথম উইকেটে ৫৩ রান করে ফেলেছিল। কিন্তু রাহুল এদিনও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২টি ছয়ের হাত ধরে ১৪ বলে ২০ করে সাজঘরে ফেরেন কেএল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে মায়াঙ্ক ডাগরের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তিনে ব্যাট করতে নেমে, এদিন ফের ব্যর্থ হন দেবদূত পাডিক্কালও। মহম্মদ সিরাজের ডেলিভারিতে ১১ বলে ৬ করে অনুজ রাওয়াতের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাডিক্কাল। তবে স্কোরবোর্ডকে সচল রেখেছিলেন কুইন্টন ডি'কক। মার্কাস স্টোইনিসের সঙ্গে যখন তিনি ভালো পার্টনারশিপ করার পথে, সেই সময়ে ফের ধাক্কা খায় লখনউ। ২টি ছক্কা এবং ১টি চারে সৌজন্যে ১৫ বলে ২৪ করে সাজঘরে ফিরে যান স্টোইনিস। ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ ধরেন ডাগর।
আরও পড়ুন: CLT20 কি ফিরতে চলেছে🥃? উদ্যোগী BCCI, CA, ECB, মিলল বড় আপডেটও
এর পর ৫৬ বলে ৮১ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি'ককও। ৫টি ছয় এবং ৮টি চার রয়েছে তাঁর এই ইনিংসে। রিস টপলির বলে ক্যাচ ধরেন মায়াঙ্ক ডাগরই। এদিন চিন্নাস্বামীতে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ডি'ককও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিজের তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১ বছর বয়সী তারকা এই কৃতিত্বটি অর্জন করেছেন তাঁর ৯৯তম আইপিএল ম্যাচে। ডি'কক আউট হলেও, নিকোলাস পুরান ঝড় তুলে লখনউকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন। ১৯তম ওভারে তিনটি, আর ২০তম ওভার ২টি ছক্কার হাত ধরে, শেষ দুই ওভারে পুরানোর সৌজন্যে এলএসজি-র ঝুলিতে আসে ৩৩ রান। লখনউ সুপার জায়ান্টস নির্দিষ্ট ꦓ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৮১ রান। ২১ বলে ঝোড়ো ৪০ করে অপরাজিত থাকেন পুরান। ক্রুনাল ক্রিজে এলেও, একটি বলও খেলেননি। এছাড়া যশ দয়ালের বলে শূন্য করে আয়ুশ বাদোনি আউট হন। তাঁর ক্যাচ ধরেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি।