যশস্বী জসওয়াল, রিঙ্কু সিংরা জাতীয় দলের আঙিনায় মাথা গলিয়ে দিলেও রিয়ান পরাগের ভাগ্যে এখনই সিনিয়র দলের শিকে ছেঁড়েনি। এশিয়ান গেমসের জন্য রিঙ্কুরা যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, রিয়ান ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাꦡতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন।
কটকে আয়োজিত ভৈরব চন্দ্র মোহান্তি মেমোরিয়াল টি-২০ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করে অসমকে চ্যাম্পিয়ন করান রিয়ান। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন পরাগ। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান অসম দলনা♊য়ক।
সেমিফাইনালে ৩টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত🥀 থাকেন রিয়ান। মাত্র ২৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান তিনি। ৯ ওভারে কমে দাঁড়ানো সেই ম্যাচে অসম শুরুতে ব্যাট করে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রান তোলে। পালটা ব্যাট করဣতে নেমে হায়দরাবাদ ৫ উইকেটে ১২৭ রানে আটকে যায়।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে রিয়ান ২৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকান। তিনি ৫০ বলে টপকে যান ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি। অর্থাৎ, হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে মাত্র ২১টি বল খরচ করেন রিয়া𝓀ন। ইনিংসের ১৭.২ ওভারে মনু কুমারের বলে ছক্๊কা হাঁকিয়ে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যান পরাগ।
শেষমেশ ম্যাচে ১১টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ১১৯ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে﷽ আউট হন রিয়ান। অসম শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। রিয়ানের শতরান ছাড়া পল্লব দাস আগ্রাসী হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫১ রান করে আউট হন। ঝাড়খণ্ডের সুশান্ত ম🍌িশ্র ও বিকাশ সিং ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন মনু কুমার ও অনুকূল রায়।
জবাবে ব্যাꦆট করতে নেমে ঝাড়খণ্ড ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রানে আটকে যায়। ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় অসম। ঝাড়খণ্ডের অনুকূল রায় ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪২ রান করেন। রিয়ান ফাইনালে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ২টি উইকেটও দখল করেন।
রিয়ান টুর্নামেন্টের ৩টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ২১২ রান সংগ্রহ করেন। মেরেছেন ১৪টি চার। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৮টি। ৪টি ইনিংসে 🍎বল করে রিয়ান সংগ্রহ করেন ৯🅷টি উইকেট।