বিশ্বকাপের ঠিক আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তাদের বিপক্ষেই পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দাপট দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। পরপর দুই ম্যাচ জিতে অজিরা এখন চালকের আসনে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ব্লুমফন্টেইনꦰে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও প্রোটিয়াদের ১২৩ রানে উড়িয়ে দিয়েছ♊ে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে তারা ২-০ লিড পেয়েছে।
শনিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেল💖িয়া। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল অজিরা। ওপেন করতে নেমে ওয়ার্নার এবং ট্রেভিস হেড শুরুটা দুরন্ত করেছিলেন। ১১.৫ ওভারে দুই ব্যাটার মিলে প্রথম উইকেটে ১০৯ রান করে ফেলেছিলেন। ৯টি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্য ৩৬ বলে ৬৪ করে সাজঘরে ফিরে যান হেড। অধিনায়ক মিচেল মার্শ অবশ্য তিনে নেমে গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফেরেন।
ওয়ার্নার এর পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে। তাঁরা ১৫১ রানের পার্টনারশিপ করেন। তবে ওয়ার্নার ৯৩ বলে ১০৬ রান করে আউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি চার এবং তিনটি ছক্কা। ল্যাবুশেন আবার ১৯টি চার এবং একটি ছক্কার হাত ধরে ৯৯ বলে ১২৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। এছাড়া ৩৭ বলে ৫০ করেছেন জোশ ইঙ্গলিস। মেরেছেন ৭টি চার, ১টি ছক্কা। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে অজিরা ৩৯২ রানের বিশ🌠াল ইনিং গড়ে। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাবরেজ শামসি। ২ উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা।
৩৯৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি'কক এবং তেম্বা বাভুমা। তাঁরা ৯.১ ওভারে প্রথম উইকেট ৮১ রান তুলেও ফেলেছিলেন। কিন্তু পরপর দুই ওপেনার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পর থেকে কি♛ছুটা যেন ছন্দপতন হয় প্রোটিয়াদের। ৪টি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪০ বলে ৪৬ করে প্রথম সাজঘরে ফেরেন বাভুমা। দলের রান ১০০ হওয়ার আগেই আউট হন কুইন্টন ডি'ককও। ৩০ বলে ৪৫ করে আউট হন তিনি। মারেন ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা। এর পর পঞ্চম উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। দুই তারকাই ৪৯ করে রান করেন। কিন্তু অজিদের পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে এটা কিছুই ছিল না। এছাড়া প্রোটিয়াদের মধ্যে ২০ রানের গণ্ডি টপকেছিলেন মার্কো জানসেন। তিনি ২৩ রান করেছিলেন। বাকিরা ২০ রানও করতে পারেননি। ৪১.৫ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে য♌ায় প্রোটিয়ারা। ১২৩ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
অজিদের হয়ে সবচেয়ে সফল ব☂োলার অ্যাডাম জাম্পা। ৯ ওভার বল করে ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট ত𒈔ুলে নেন তিন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সিন অ্যাবট, নাথান এলিস এবং অ্যারন হার্ডি।