শুভব্রত মুখার্জি:- দক্ষিণ আফ্রিকাতে টেস্ট সিরিজে বারবার সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে ভারতীয় বোলিংকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতা তো রয়েছে পাশাপাশি বোলারদের ব্যর্থতাও হারের অন্যতম কারণ। এই কারণে এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় দল টেস্ট সিরিজ জেতেনি প্রোটিয়াভূমে। সেই এক রোগেই ভুগতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় পেসারদের বারবার। যা প্রথম সেঞ্চুরিয়ন টেস্টেও চোখে পড়েছে। যে উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা ভারতকে ২৪৫ রানে অলআউট করে দিয꧋়েছিল, সেই উইকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে করে ৪০৮ রান। এই প্রথম ইনিংসে লিডের ভিত্তিতেই সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট এক ইনিংস ღএবং ৩২ রানে জিতে গিয়েছিল। সামনেই শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। আর তার আগেই ভারতীয় বোলারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা পেসার অ্যালান ডোনাল্ড। তাঁর মতে কেপটাউনে পরীক্ষিত হবে ভারতীয় পেসারদের সৃজনশীলতা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড জানিয়েছেন, ‘আমি জানি (প্রথম টেস্টে) দক্ষিণ আফ্রিকা পরিবেশ পরিস্থিতিকে অনেক ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। এই বিষয়ে আলাদা করে কোনও প্রশ্ন থাকতেই পারে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা পিচে ৫ থে🔯কে ৫.৫ মিটার লেন্থে বল করেছে। যার সুবিধা তারা পেয়েছে। তারা বলকে পিচ থেকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এই কাজটাই ভারতীয় বোলাররা ঠিকভাবে করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকাতে বলকে পিচের সাহায্য নিয়ে কাজ করতেꦗ দিতে হয়। তাতে অনেক বেশি সাহায্য পাওয়া যায়। ভারতের থেকে এই জায়গায় এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। তারা অনেক বেশি ধৈর্য্য রেখেছে। যা ভারতীয় বোলাররা রাখেনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও তারা বাউন্সার অনেক বেশি ব্যবহার করেছে।’
ডোনাল্ড আরও জানিয়েছেন, ‘ভারতের হয়ে একজন বোলারের (প্রসিধ কৃষ্ণা ) অভিষেক হয়েছে। আমি মনে করি বুমরাহ সহ সব ভারতীয় বোলার অতিরিক🐈্ত কিছু করার আশায় তাড়াহুড়ো করেছে। খুব তাড়াতাড়ি তারা অনে🐽ক বেশি শর্ট বল করেছে। ফলে লাইন এবং লেন্থ নিয়ে তারা সমস্যায় পড়েছে। ফলে কোন একটা দিক ওপেন হয়ে গিয়েছে। স্কোয়ার লেগ, অফ সাইডকে কাজে লাগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। কেপটাউনে কিন্তু ব্যাপারটা সহজ হবে না। এখানে দুই দলের বোলাররাই অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে খেলতে আসবে। কেপটাউনে কিন্তু উইকেট অনেক বেশি পাটা হবে। ফলে এখানের উইকেটে উইকেট নিতে গেলে ভারতীয় বোলারদের অনেক বেশি সৃজনশীল হতে হবে।’