আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই টিম ইন্ডিয়𓃲ার হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিসিসিআই নতুন কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। আইপিএলের মাঝেই নতুন কোচের আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিসিসিআই। আবেদন করার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই সামনে আসে অবাক করা তথ্য।
গত ১৪ ম𒁃ে বিসিসিআই টিম ইন্ডিয়ার নতুন হেড কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। ওয়েবসাইটে একটি গুগল ফর্মের লিঙ্ক দেয় বিসিসিআই, যেখানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা আবেদন জানাতে পারবেন। ২৭ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যেত। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই দেখা যায় যে ৩ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে ভারতের হেড কোচ হতে চেয়ে।
নিশ্চিতভাবেই কিছু হেভিওয়েট নাম রয়েছে তালিকায়। তবে বিসিসিআই নাকাল অন্য একটি কারণে। কারণ, বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম নিয়ে বিস্তর জালি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এই তালিকায় যেমন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্রিকেটারদের নাম রয়েছে। ঠিক তেম🍒নই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মতো রাজনীতিবিদদের নাম। অর্থাৎ, মোদী-শাহ নাকি ভারতের হেড কোচ হতে ইচ্ছুক!
যদিও ভারতের কোচ হতে চেয়ে জালি আবেদন এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে বিসিসিআইকে। এই প্রসঙ্গে এক বিসিসিআই কর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘গতবারও নকল আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এবারও তেমনটাই দেখা যায়। গুগল ফর্মে⛦ আবেদনপত্র চাওয়ার কারণ হল একটি শিটে সমস্ত আবেদনকারীর ন🐬াম যাচাই করা যায়।’
উল্লেখ্য, বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে টিম ইন্ডিয়ার নতুন হেড কোচের মেয়াদ। শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ সালে। অর্থাৎ, পাক্কা সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ মেয়াদে কোচ নিয়োগ করতে চলেছে বিসিসিআই। আবেদন জমা ꦉপড়ার পরে বাছাই তালিকার প্🎉রার্থীদের মধ্য থেকে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নতুন কোচ নিয়োগ করা হবে।
ভারতের হেড কোচ হতে হলে অন্ততপক্ষে ৩০টি টেস্ট ম্যাচ অথবা ৫০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা অন্তত ২ বছর কোনও টেস্ট খেলিয়ে পূর্ণ সদস্য দেশকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তা না হলেও কোনও সহযোগ🔯ী দেশ বা আইপিএল অথবা সমজাতীয় কোনও টি-২০ লিগের দল, কোনও প্রথম শ্রেণির দল কিংবা জাতীয়-এ দলকে ৩ বছর কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও চলবে। তবে বয়স হতে হবে ৬০ বছরের নীচে।