বুধবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে ভোট দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। মুম্বইয়ে স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকর এবং মেয়ে সারা তেন্ডুলকরকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন মাস্টার ব্লাস্টার। ভোট দানের পর স্বপরিবারে মিডিয়ার সামনে এসে ছবিও তোলেন। ভোট দেওয়ার পর নির্বাচনে অংশগ্রহন করার গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সচিন। সকলের কাছে ভোট দꦯেওয়ার জন্য আবেদন রাখেন তিনি। সচিন বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ভোট আইকন হিসেবে যুক্ত রয়েছি। আমি সকলকে বলব ভোট দিন। এটা আপনাদের কর্তব্য। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব নিজের ভোট নিজে দিন।’ এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেও একটি পোস্ট করেন সচিন।
এদিন সকাল সকাল স্ত্রী এবং মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে পৌঁছে যান সচিন তেন্ডুলকর। ফ্লোরাল প্রিন্টেড শার্ট পড়ে উপস্থিত হন তিনি। সচিন অবশ্য একটা সময় রাজনীতিতে ছিলেন। তবে তা সক্রিয় নয়। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০১২ সালে তিনি এমপি মনোনীত হন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সচিন এই পদ সামলেছেন। তবে রাজনীতির থেকে ক্রিকেট মাঠই তাঁকে বেশি টানে, তাই ফেরত আসেন সেখানেই। ২০১৯ বিশ্বক⛦াপের সময় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকর হিসেবে অভিষেক ঘটে তাঁর।
সচিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে যত কথা বলা যায় ততই কম হবে। তিনি তাঁর ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে পুরো দুনিয়াকে মুগ্ধ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে🔥ছিল তাঁর✨। এরপর থেকে একের পর এক ম্যাচে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সচিন তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মোট ২০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, রান করেছেন ১৫,৯২১, গড় ৫৩.৭৮। তাঁর ঝুঁলিতে রয়েছে ৫১টি টেস্ট শতক। ওডিআই ক্রিকেটেও চোখ ধাঁধানো পরিসংখ্যান তাঁর। তিনি মোট ৪৬৩টি ওডিআই খেলে ১৮,৪২৬ রান করেছেন, গড় ৪৪.৮৩। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে তিনি মোট ৪৯টি শতক হাঁকিয়েছেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও অনবদ্য ছিলেন সচিন, রান করেছিলেন ২৫ হাজারের বেশি।
প্রসঙ্গত, আজ মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ২৮৮টি আসনে লড়াই চলছে। একই সঙ্গে চলছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ৮১টি আসনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ৩৮টি আসনে ভোটগ্রহণ। পাশাপাশি উত্তরপ♏্রদেশ,কেরল, উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবের বেশ কিছু আসনে উপনির্বাচন অꦏনুষ্ঠিত হচ্ছে।