চেন্নাইয়ে ভারতের শুরুটা ভালো না হলেও তৃতীয় দিনে টেস্টে চালকের আসনে তারাই। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন শুভমন গিল। হাসান মাহমুদের বলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনও ভুল নয়। ব্যাট হাতে শতরান করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করালেন গিল। চেন্নাইয়ের পিচে বাংলাদেশি স্পিন বোলারদের ঘূর্ণি স🌌ামলে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে বড় রান আসায় সুবিধা হয় ভারতের। আগেই লিড ছিল রোহিতদের, দ্বিতীয় ইনিংসে গিল এবং পন্তের সেঞ্চুরির সুবাদে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা রাখে ভারত।
তৃতীয় দিনের শেষে শুভমন গিল বলেন, ‘আমি স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্টেপ ডাউন করে স্ট্রাইক রোটেট করায় অভ্যস্ত, প্র্যাক্টিসেও তাই করতাম। এখানেও তাই করছিলাম। এই পিচে স্ট্রাইক রোটেট না করে উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন। কারণ কিছু বল সোজা আসছিল, আবার কিছু বল স্পিনও হচ্ছ🔯িল’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি সিরিজ শুরুর আগে প্র্যাক্টিস করেছি অনেক, নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনাও ছিল। সেগুলোই ফলো করেছি। এই পিচে আপনাকে কঠিন বল💞ে যেমন ডিফেন্স করতে হবে, তেমনই খারাপ বলে রান করার সুযোগ ছাড়লে চলবে না’।
শুরুর দিকে গিলের খেলা দর্শনীয় ছিল। যেখানে ১৫ ওভার ব্যাট করে ৪৮ রান করেছিলেন তিনি, মিরাজের বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশতরান সম্পন্ন করেন। গিল কী পন্থা অবলম্বন করেছিলেন সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার শট দেখেছি। ওটা আমার এরিয়া, আমি ওখানে বল পেলে রান করেছি।♈ এরিয়ার বাইরে বল হলে ডিফেন্স করেছি। অন্য প্রান্তে কী ঘটছে তা সত্যিই বিবেচ্য নয় এবং দলের কিসের প্রয়োজনীয়তা আছে সেটি প্রথম বিবেচ্য। সেই অনুযায়ী আপনাকে আপনার গেমের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে’।
গতবছর গিল মোটেও ভালো খেলেননি টেস্টে, ওপেনার হিসেবে ব্যাট করতে এসে একটি শতরানও আসেনি তাঁর। এরপরে ৩ নম্বরে ব্যাট করার জন্য গিলকে নির্বাচন করা হয়। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ৪৫২ রান করেন তিনি, যার মধ্যে ২টি শতরানও ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমি মনে করি আমার কাছে এই সুযোগটা অনেকদিন পর এসেছিল, বিশেষত ৩ নম্বরে ব্যাট করতে পারাটা’। প্রথম ইনিংসের আউট প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে আমি যেইভাবে আউট হয়েছিলাম তাতে হতাশ হই। যদিও ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার কিছু করার ছিল না। ⛎তবে এটি আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে যাতে ক্রিজে অনেক সময় ব্যয় করতে পারি এবং আমার উইকেটের অতিরিক্ত মূল্য দিতে পারি’।