ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের ব্যক্তিগত জীবনের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে চলেছে। শিখর ধাওয়ান বর্তমানে তিনটি ফরম্যাটে ভারতীয় জাতীয় দলের পরিকল্পনায় নেই। তবে তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক। পেশাদার জীবনে ক্রিক🔜েটটা পুরোদমে রয়ে গিয়েছে। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন পুরো এলোমেলো।
তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের থেক🍬ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, শিখর ধাওয়ান প্রায় এক বছর ধরে তাঁর ছেলে জোরাভারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে পারছেন না। এমন কী ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করে শিখর দাবি করেছেন যে, তাঁকে সমস্ত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকেও ব্লক করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টে প্রথম দিনই অজিদের🦩 চাপে ফেলল পাক বোলাররা, তবে বাবরদের ফি🌃ল্ডিং হতাশাজনক
এই বছরের অক্টোবরে, দিল্ꦉলির একটি আদালতে শিখর ধাওয়ান আর আয়েশার আইনি ভাবে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এমন কী আয়েশা যে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে নিষ্ঠুরতা করছেন, সেটাও তারা জানিয়ে দেয়। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় নিজের ছেলের সঙ𝓰্গে দেখা করার জন্য শিখর ধাওয়ানকে বাধ্যতামূলক অধিকারও দিয়েছে আদালত। আয়েশাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, ধাওয়ান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছেলে যাতে রাত্রিবাস করতে পারে এবং বিভিন্ন সময়ে দেখা করতে পারে, তাতে আয়েশা বাদা দিতে পারবেন না। এর পাশাপাশি ছেলেকে ভারতে আনার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু শিখর ধাওয়ান যে কোনও ভাবেই ছেলের সঙ্গে যোগযোগ করে উঠতে পারছেন না, সেটা তাঁর পোস্টে পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: বড় শাস্তি পেলেন তিন আফগান তারকা, 2024 IPL-এর আগে কপꦰাল💞 পুড়ল KKR, LSG, SRH-এর
ছেলের জন্মদিনের দিন ইনস্টাগ্রামে শিখর ধাওয়ান আবেগপূর্ণ ভাবে লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে দেখেছি এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। এবং এখন প্রায় তিন মাস ধরে আমাকে সবꩵ জায়গা থেকে ব্লক করা হয়েছে, তাই একই ছবি পোস্ট করছি। আমার ছেলে, তোমাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যদিও আমি সরাসরি তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি, তবে আমি টেলিপ্যাথির মাধ্যমে তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকি। আমি তোমার জন্য খুব গর্বিত, এবং আমি জানি তুমি খুব ভালো আছো এবং সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছো। বাবা সব সময়ে তোমাকে মিস করে এবং তোমাকে খুব ভালবাসে। আমি সব সময়ে হাসি মুখে সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি, যখন আমরা ঈশ্বরের কৃপায় আবার দেখা করব। দু😼ষ্টুমি করো, কিন্তু ধ্বংসাত্মক হয়ো না। একজন দাতা হয়ে ওঠো। নম্র, সহানুভূতিশীল, ধৈর্যশীল এবং শক্তিশালী একজন হয়ে ওঠো। তোমার সঙ্গে দেখা না হলেও তোমাকে রোজ মেসেজ করি। তুমি ভালো আছ কিনা সেই খোঁজখবর নিই। আমি কী করছি, সেই কথাও জানাই। কিন্তু তুমি সে সব দেখতে পাও না। তোমার বাবা তোমাকে খুব ভালবাসে।’