শেষ পর্যন্ত দেশেই ফিরে গেলেন শোয়েব বশির। তাঁর ভিসা সমস্যা এখনও মেটেনি। সেই সমস্যা মেটাতেই দেশে ফিরে গিয়েছেন বশির। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অন্♛যতম সদস্য শোয়েব বশির। ২০ বছরের অফ স্পিনার ভারতের ভিসা পাননি। তাই দলের সঙ্গে এ দেশে আসতে পারেননি তিনি। পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত এই প্লেয়ারের ভিসা সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আশা করা হয়েছিল।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড মনে করেছিল যে, বিষয়টি সংযুকꦐ্ত আরব আমিরশাহিতেই সমাধান হয়ে যাবে। কারণ ভারতে আসার আগে পুরো ইংল্যান্ড টিম সেখানে প্রস্তুতি চালিয়েছে। তাই বশির দেশে ফিরে না গিয়ে, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অফ অপারেশনস স্টুয়ার্ট হুপারের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে থেকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় 𒅌তাঁকে ফিরে যেতে হল দেশে।
তরুণ স্পিনার শোয়েব বশিরের ভিসা বিলম্বের বিষয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস নিজের ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছেন। বৃহস🦂্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হতে চলা প্রথম টেস্ট শুরু ൲হবে।
আরও পড়ুন: কোহলির বদলে শ্রেয়স? জুরেলের 🏅অভিষেক হবে? দুই পেসার নিয়ে একাদশ সাজাবে🐻 ভারত?
ভারতের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে ইংল্যান্ডের। এবং এই সফরের জন্য ইংল্যান্ড বশির সহ তিন অনভিজ্ঞ স্পিনারকে বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে ভিসা সমস্যা না মেটায় ২০ বছরের তারকাকে প্রথম টেস্টে পাওয়া যাবে না। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে এই প্রসঙ্গে স্টোকসকে বলেছেন, ‘বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে আমি বিশেষ ভা💦বে হতাশ।’
তিনি যোগ করেছ⛄েন, ‘আমরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়🌼ে সেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলাম, এবং এখন বাশ এখানে আসার জন্য ভিসা পাননি। আমি ওর জন্য বেশি হতাশ। আমি চাইনি যে, এই ধরনের পরিস্থিতি ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে থাকতে ওর প্রথমেই অভিজ্ঞতা হোক। আমার ওর জন্য খারাপ লাগছে।’
স্টোকসের দাবি, ‘কিন্তু তিনিই প্রথম ক্রিকেটার নন, যিনি🌌 এর মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, আমি অনেকের সঙ্গে খেলেছি, যাদের একই সমস্যা ছিল। আমি এটাকে হতাশাজনক বলেই মনে করি যে, আমরা একজন খেলোয়াড়কে বেছে নিয়েছি এবং ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সে আমাদের সঙ্গে নেই। বিশেষ করে একজন তরুণের জন্য, আমি ওর বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত হতাশ। এটি একটি হতাশাজনক পরিস্থিতি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
যদিও বশিরের একটি ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি সারেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবে তিনি যেহেতু পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত, যে কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ইংল্যান্ডের বাকি দল রবিবার আবুধাবি থেকে ভারতে পৌঁছে গিয়েছিল। ভারতে আসার আগে আবুধাবিতেই শিবির করেছিলেন স্টোকসরা। জানা গিয়েছে যে, ইংল্যান্ড দলের আর এক তরুণ স্পিনার রেহা♚ন আহমেদ, যার একই রকম ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, তবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের দলে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকার কারণে, আগে থেকেই তাঁর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।
২০২৩ সালে, উসমান খোয়াজা, যিনি পাকিস্তানেই জন্মগ্রহণ করেছিꦦলেন, একই রকম 𝄹ভিসা সমস্যায় পড়েছিলেন। এবং অস্ট্রেলিয়ান দলের বাকিদের তুলনায় অনেক পরে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন খোয়াজা। সাম্প্রতিক ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই পাকিস্তান দল ভিসা পেয়েছিলেন, তাদের ভারতে আসার একদিন আগে।