শুভব্রত মুখার্জি:- দীর্ঘদিন ধরে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই শ্রেয়স আইয়ার।বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেট অর্থাৎ টেস্টে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না তিনি। এরপর চোট আঘাতের সমস্যাতেও ভুগতে হয়েছে তাঁকে🦩। বিসিসিআইয়ের নির্দেশ অমান্য করে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইন🥃ালে না খেলে আরো বিতর্ক বাড়িয়েছেন তিনি।
যদিও রঞ্জির সেমিফাইনালে তিনি কামব্যাক করেন। তবে একেবারেই রান পাননি। রঞ্জির ফাইনালেও তিনি প্রথম ইনিংসে রান পাননি। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে। সেখানে ৯৫ রান🍒ের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই ইনিংসকে গত বছরের ওডিআই বিশ্বকাপের ইনিংসের সঙ্গে অদ্ভুত তুলনা টেনেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ। যাতে কিছুটা হলেও হতচকিত বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের হয়ে খেলার সময়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুরন্ত একটি শতরান করেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। সেদিন মাত্র ৭০ বলে ১০৫ রান করেছিলেন তিনি। আর এদিনও বিদর্ভের বিরুদ্ধে বেশ আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা গেল তাঁকে। মাত্র ১১১ বল খেলে করলেন ৯৫ রান। অনবদ্য স্ট্রোক প্লেতে ছাপিয়ে গেলেন সতী🐲র্থ অজিঙ্কা রাহানে এবং মুশির খানকে। আর রঞ্জি ফাইনালের এই ইনিংসকেই সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ইনিংসের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত।
কেকেআরের হেড কোচ জানিয়েছেন, ‘এই ইনিংসটা শ্রেয়সের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খুব সময়মতো এই ইনিংসটা ও খেলেছেꦐ। যখন প্রয়োজন ছিল তখন ও এই দুরন্ত ইনিংসটা খেলতে সমর্থ হয়েছে। যদিও আলাদা ফর্ম্যাটে করেছে ও। তবে আমি বলব ওর এই ইনিংসটা আমাকে গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা ইনিংসকে মনে করিয়ে দিয়েছে।’
পণ্ডিত সঙ্গে যোগ করেন, ‘এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই তো ও সেদিন ওই ইনিংসটা খেলেছিল। এই ইনিংসে ও ১০টা বাউন্ডারি এবং ৩টে ওভার বাউন্ডারি মেরেছে। এটা দেখে বোঝা যায় যে ও কতটা ভয়ডরহীনভাবে এদিন ব্যাট করেছে। এতকিছুর পরেও ও🤪 যে ওর খেলার ধরনটাই বদলে ফেলেনি তা সত্যিই খুব ভালো খবর। এই ইনিংসটা ওকে মানসিকভাবেও খুব ভালো জায়গায় রাখবে।'