জিততে হলে শেষ ওভার জিম্বাবোয়েকে করতে হত ২০ রান। সেখানে এক বল বাকি꧃ থাকতেই, ২৪ রান তুলে শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে তাদেরই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে দিল সিকান্দার রাজার টিম। একেবারে রোমহর্ষক জয়।
শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন লঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। শেষ ওভারে জিম্বাবোয়েকে আটকে রাখার দা𝓀য়িত্বটা তাঁর কাঁধেই দিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্ত🔥ু ম্যাথিউজ প্রথম বলেই দিয়ে বসলেন ১১ রান। ভাবছেন তো কী ভাবে? আসলে প্রথম বলটি ছিল নো এবং সেই বলে ছক্কা মারার পরের ডেলিভারি অর্থাৎ অর্থাৎ অতিরিক্ত বলটিতে লুক জংউই ফের চার হাঁকান। এর ফলে সমীকরণ নেমে আসে ৫ বলে ৯ রানে। যে ওভারের শুরুতে পিছিয়ে ছিল জিম্বাবোয়ে, তারাই প্রথম বলের পর জয়ে জন্য ফেভারিট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এমন কোন গুণ ধোনি, কোহলি, সচিনের নেই কিন্তু ✨তাঁর আছে, নিজের মুখেই জানালেন সৌরভ
ম্যাথিউজের দ্ব✃িতীয় বলটি ছিল স্লোয়ার, তাতেও ছক্কা মারেন জংউই। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে এর পরও নাটকের বাকি ছিল। পরের ২ বলে ১ রান হয়েছিল। এমন কী জংউইয়ের উইকেটও পেয়ে যেতে পারতেন ম্যাথিউজ। তবে মাহিশ থিকশানা ক্যাচ ফেলে বসে থাকেন। শেষ ২ বলে যখন দরকার ২ রান, এমন পরিস্থিতিতে ম্যাথিউজের পঞ্চম বলে ক্লাইভ মাদান্দে হাঁটু গেড়ে ডিপ মিডউইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে জিম্বাবোয়ের জয় নিশ্চিত করেন। ৪ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুড়ে সিরিজ ১-১ ড্র করে ফেলল সিকান্দার রাজার দল। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে পঞ্চমবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। এই প্রথম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয় পেল জিম্বাবোয়ে।
কলম্বোয় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ২৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল লঙ্কান ব্রিগেড। তবে চরিথ আসালঙ্কা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ম🌌িলেই দলের হাল ধরেছিলেন। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা মূল্যবান ১১৮ রান যোগ করেছিল। আসালঙ্কা ৩৯ বলে ৬৯ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার এবং তিনটি ছক্কাতে। ম্যাথিউজ আবার ৬টি চার এবং ২টি চারের হাত ধরে ৫১ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এই রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার ক্রেগ আরভিন ৫৪ বলে ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। তা𓄧ঁর এই ইনিংসে রয়েছে ছ'টি চার এবং ২টি ছক্কা। এছাড়া সাতে নেমে জংউইয়ের ১২ বলে ২৫ এবং আটে নেমে মাদান্দের ৫ বলে ১৫ রান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। এক বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবোয়ে।