গত বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় তারা। এরপর গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখা যায়♚ সমর্থকদের তরফ থেকে, যার জেরে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। তবে সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তারা ২-১ ফলাফলে এবার এই পারফরম্যান্সের পর বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার, তথা প্রাক্তন বোলিং কোচ ভরত অরুণকে। এক্সিকিউꩲটিভ কমিটির বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের এক্🔥সিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের একটি বৈঠকে বসে। যার মূল বিষয়বস্তু ছিল দলের উন্নতি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বোর্ডে বেশকিছু প্রভাবশালী প্রাক্তন ক্রিকেটারদের জায়গা দেওয়া হবে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বেশকিছু জনপ্রিয় প্রাক্তন তারকাদের সাহায্যে আমরা নেব। স্থানীয় কোচ, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং অন্যান্য ট্রেনাররা যাতে সবরকম ভাবে প্রশিক্ষণ পায়, তাই তাদের বোর্ডের সদস্য বানানো হবে। এই প্রাক্তন তারকারা সব বিভাগে মাঝেমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেবেন।'
প্রসঙ্গত, শুধু ভরত অরু🍨ণই ন⛦ন, প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা জন্টি রোডসকে নির্বাচিত করা হয়েছে দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে এবং ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অ্যালেক্স কন্টুরিকে। এবার দেখার বিষয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল আবার আগের মতো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে কিনা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ের মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে জিম্বাবোয়েকে ব্যাট করতে ꦍপাঠায় শ্রীলঙ্কা। ১৫ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ব্রায়ান বেনেট। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে চারটি উইকেট তোলেন অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও থিকশানা এবং একটি করে উইকেট নেন দিলশান মাধুশঙ্কা এবং ধনঞ্জয় ডি'সিলভা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১১ ওভারের মধ্যেই এক উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। পাথুম করেন ৩৯ এবং কুশল মেন্ডিস করেন ৩৩। জিম্বাবোয়ের বোলারদের মধ্যে একটি উইকেট পান শন উইলিয়ামস। ম্যাচের সেরা হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং সিরিজের সেরা হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।