শুভব্রত মুখার্জি:- বেশ কয়েকবছর ধরেই পাকিস্তান সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাবর আজম। মাঝে কিছুটা সময় তিনি অধিনায়ক না থাকলেও ফের টি-২০ বিশ্বকাপের আগে তিনি অধিনায়কত্ব ফিরে পান। ব্যাটার বাবর আজম তাঁর খেলার দক্ষতায় 💃গোটা দেশে সমাদৃত। তবে অধিনায়ক হিসেবে ꧃তিনি সেই ভাবে কোনও রকম সাফল্য জাতীয় দলের হয়ে পাননি। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ হোক কিংবা ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ পাকিস্তান গ্রুপ পর্বের বাঁধা টপকাতে পারেনি তারা। এরপরেই ঘরে বাইরে নানাভাবে সমালোচনার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছিল। এমন আবহে এবার বাবর আজমের নেতৃত্ব নিয়ে বড়সড় দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক। বেশ বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে বাবর আজম খুব ‘জেদি’ অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা খুব যন্ত্রনাদায়ক।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক মহম্মদ ওয়াসিম। তাঁর বক্তব্য তিনি দলেরꦛ স্বার্থে বাবর আজমকে দলে কিছু পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাবর এতটাই জেদি যে তিনি নাকি তাঁর কোন কথাই শোনেননি। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সাদা বলের ফর্ম্যাটে অধিনায়ক বাবর আজম। অর্থাৎ ওয়ানডে এবং টি-২০ ফর্ম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এই বাবর আজমের জেদের কারণেই সাদা বলের ফর্ম্যাটে পাকিস্তান দলে যে সংস্কার সম্ভব হয়নি তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন… এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে- পাকি🐓স্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের লক্ষ্য এবার ভারত
একটি স্থানীয় পাকিস্তানি সংবাদপত্রকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলছি বাবরের সঙ্গে কাজ করাটা খুব যন্ত্রনাদায়ক। দলে পরিবর্তন করার যে সুফল সেটা ওঁকে বোঝাতে যাওয়াটা খুব যন্ত্রনাদায়ক ছিল। ও খুব খুব জেদি ছিল। আমি সত্যি বলছি ওঁর সঙ্গে কাজ করাটা সমস্যার। ওকে দলের অধিনায়ক করতে আমি অনেক লড়াই করেছি। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়েও লড়াই করেছি। কিন্তু ওঁকে আমি দলে সংস্কারের প্রয়োজ꧂নীয়তা বোঝাতে পারিনি। কোন রকম কোন পরিবর্তনকে মেনে নেওয়ার পক্ষেই ও ছিল না।’
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: কীসের ভয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজের দিকে দৌড়া🎃চ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার? শাকিবরা 🌳কেন হাসছেন?
এরপর তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তাঁর দাবি এর আগে অনেক কোচ বেশ কিছু ক্রিকেটারের নাম দিয়েছেন বা নাম করেছিলেন যাদেরকে তারা দলের জন্য ক্ষতিকারক বা ক্যান্সার বলেই মনে করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি কারোর নাম নেব না। তবে এটা বলব যে এর আগে চারজন প্রাক্তন কোচ এক কথা বলেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল বেশ কিছু ক্রিকেটার দলের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে। তারা কার্যত দলের ক্যান্সার। দলের উন্নতিতে তারা বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদেরকে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এদেরকে না সরালে পাকিস্তান জয় (আইসিসি টুর্নামেন্টে) পাবে না। আমি তাদেরকে দল থেকে সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের পাশে এসে দ🌠াঁড়ায়।তাদেরকে দলে ফেরত নিয়ে আসে।’