ফ্লোরিডায় পঞ্চম ও শেষ খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটে হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত মুখ থুবড়ে পড়ে। নিকোলাস পুরান এবং ব্রেন্ডন কিং লডারহিলে দুরন্দ ছন্দে ব🌸্যাট করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারতে ২-৩ হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ চলাকালীন টিম ইন্ডিয়া তাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। বিশেষ করে ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
শুভমন গিল এবং ইশান কিষান জুটি ওডিআই সিরিজে ওপেন করেছিল। প্রথম দু'টি টি-টোয়েন্টিতেও তারাই ওপেন করেছিল। তবে সেই ভাবে তারা 💃সাফল্য পায়নি। তারা দু'টি ম্যাচে যথাক্রমে ৫ এবং ১৬ রান যোগ করতে পেরেছিল। এর পর ইশানকে বিশ্রাম দিয়ে তরুণ যশস্বী জয়সওয়ালকে খেলানো হয়েছিল। চতুর্থ ট♌ি-টোয়েন্টিতে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ বাদ দিলে, বাকি দু'টি ম্যাচে এই ওপেনিং জুটিও ব্যর্থ হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে দলের জন্য একটি হতাশাজনক বিষয় ছিল।
ওযꦬ়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ হারের পর প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে কলম ধরেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি স্তরে আধিপত্য বিস্🐻তার করা, আর জাতীয় দলের জার্সিতে একই রং দেখানো কঠিন চ্যালেঞ্জ। তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, অনূর্ধ্ব-১৯ সিনিয়র দলে খেলতে এসে নিজেকে প্রমাণ করাটাও একেবারেই সোজা নয়।
গাভাসকর স্পোর্টস্টারের জন্য লিখেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজি স্তরে ভালো করতে পারে, 🔜কিন্তু যখন দেশের হয়ে খেলার কথা আসে, তখন এটি চাপ এবং প্রত্যাশার মাঝে একেবারে ভিন্ন স্তরের খেলা হয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্তরে সেরা পারফরম্যান্সের চেয়ে এটি এক ধাপ উপরে রয়েছে। আমরা কতবার এটা দেখেছি , অনূর্ধ্ব-১৯ পারফর্মাররা বয়েজ টুর্নামেন্ট থেকে এক ধাপ উপরে মেন্স টুর্নামেন্টে ঠিক করে পারফরম্যান্স করতে পারে না।’
꧅আরও পড়ুন:♛ বিশ্বকাপের পরেই ODI থেকে অবসর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন- দাবি করলেন কামিন্স
তিনি যোগ করেছেন, ‘হ্যাঁ, বাচ্চারা বাচ্চাদের বিরুদ্ধে খেললে, দেখতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু যখন তারা পুরুষদের বিপক্ষে খেলতে নামে, তখন অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে যেটিকে 𒊎কেকের টুকরো বলে মনে হয়, সেটাই সিনিয়র স্তরে শক্তি মাটির মতো লাগে। তাই জুনিয়র লেভেলে অনেকে ভালো খেললেও, সিনিয়র স্তরে খেলতে পারে না। এটা শুধু মেজাজই নয়, এমন কী স্কিল সেটও ফ্র্যাঞ্চাইজি স্তরের প্রয়োজনীয় মানের চেয়ে এটা অনেক উপরে। তার পর কোটি টাকায় কেনা হয় তরুণদের। টাকা পেয়ে পেট ভরে যায় তাদের। আর নিজেদের ভিতরের আগুনটা তারা হারিয়ে ফেলে। এর পর পরবর্তী বছরগুলিতে তারা কম টাকায় চুক্তি করেও খুশি থাকে।’
গাভ🎀াসকর যেমন জোর দিয়েছেন যে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে রূপান্তর রীতিমতো একট🃏ি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে, তেমনই তিলক বর্মা ব্যতিক্রমী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ব্যতিক্রমী ভাবে অভিষেক সিরিজে নজর কাড়া পারফরম্যান্স করেছেন। পাঁচটি ম্যাচে মোট ১৭৩ রান করেছেন। ৫৭.৬৭-এর দুর্দান্ত গড়ে এই রান তিনি করেছেন।