ক্রিকেটের মাঠে খেলোয়াড়দের ফুটওয়ার্ক ভালো হওয়া অত্যন্ত জরুরি। ব্যাটারদের পায়ের নড়চড়া ভালো না হলে🍨 যেমন যথাযথ শট নেওয়া মুশকিল হয়, ঠিক তেমনই আউট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বিস্তর। বোলারদের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যভাবে দেখা হয়। রান-আপ থেকে জাম্প🌺িং, সব কিছুই নিখুঁত হওয়া দরকার। নাহলে সেরা ছন্দে বল করা মুশকিল। মাপা পদক্ষেপ না হলে ওভার স্টেপে নো-বল হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
তবে ক্রিকেটেও যে ফুটবলের মতো পায়ের ব্যবহারে বাড়তি সাফল্য পাওয়া যায়, দেখিয়ে দিলেন বৈভব পাটিল। ইসিএস জার্মানি🌼র ম্যাচে বৈভব নিজের ফুটবল স্কিলের ছাপ রাখেন। তিনি পা দিয়ে শট নিয়ে যেভাবে নিখুঁত নিশানায় রানআউট করেন প্রতিপক্ষ ব্যাটার রফি খানকে, ফুটবলে ঠিক সেভাবেই গোল করতে পারতেন তিনি।
আইনইাইট হ্যালের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল বার্লিন ক্রিকেট অ্যাকাডেমির। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বৈভবের বিচক্ষণতার ছবি দেখা যায়। ৭.৫ ওভারে বৈভবের বলে লেগসাইডে জোরালো শট নেওয়ার চেষ্টা করেন রামিজ হাফিজ। যদিও বল কানেক্ট হয়নি ব্যাটে। ব্যাটারের প্যাডে লেগে বল 🌠পিচের পাশেই গড়িয়ে যায়।
রামিজ দৌড়ে এক রান চুরি করার চেষ্টা করেন। তাঁর ডাকে সাড়া দেন নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার রফি। তিনিও দৌড় শুরু করেন। বোলার বৈভব ফলো-থ্রুয়ে দৌড়ে যান বলের দিকে। বোলার আর নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার কার্যত আগু-পিছু দৌড়চ্ছিলেন। বৈভব বল ধরে রান-আউট করতে চাইলে রফি ততক্ষণে ক্রিজে পৌঁছে যেতেন। তাই তিনি বল ধরার চেষ্টাও করেননি। বলের কাছে গিয়ে ফুটবল খেলার ঢংয়ে পা দিয়ে স্টাম্প লক্ষ্য করে শট নেন। বল সোজা গিয়ে লাগে স্টাম্পে। রফি ক্রিজে পৌঁছতে পারেননি তখনও। ফলে রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে 🦂হয় তাঁকে।
ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে আইনইাইট নির্ধারিত ১০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান তোলে। ১১ বলে ৩১ রান করেন এহসানউল্লাহ শরিফি। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মারেন। ১৬ রান করেন উসমানি বিলাল। বৈভব ১টি অনবদ্য রান-আউট ক🎐রা ছাড়াও ২ ওভা🌜রে মাত্র ৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বার্লিং ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ৯.১ ওভারে ৫ উইকেটের বি𓂃নিময়ে ৯৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩২ রান করেন মুঘিল বিশ্বনাথন। ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৩৮ রান করেন জান আলুজাই।