বাবর আজমের নেতৃত্ব নিয়ে এবার ঝামেলায় জড়ালেন পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ এবং ইমাম-উল-হক। আমেরিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব এবং তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান ক্রিকেটের অবস্থা নিয়ে বিতর্কে জুড়ে দেন এই দুই তারকা। পাকিস্তানে জিও টিভিতে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিল্ড-আপ শো চলাকালীন, শেহজ🌜াদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, বাবর আজম জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করার সময়ে পক্ষপাতিত্ব করেন কিনা? এর জব꧂াব জিতে গিয়ে বাবরকে ধুইয়ে দিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বাবরের তীব্র সমালোচনা
শেহজাদ কড়া ভাষায় বাবর আজমের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এমন কী টি꧑-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে ꦑপুনর্বহাল করার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নিন্দা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘বাবর আজমের কথা বলতে গেলে, বন্ধুত্বকে তো গুরুত্ব দেয়ই। সেই ভিত্তিতে ও খেলোয়াড়দের দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন করছে। অথচ সেই সব খেলোয়াড়রা দীর্ঘ দিন ধরে ফর্মের বাইরে। এটা ভালো বিষয় নয়। আমি যদি ম্যাচের সংখ্যা গুনতে শুরু করি, তবে বুঝবেন, খেলোয়াড়রা কত লম্বা সময় ধরে রান পাচ্ছে না। যদি অন্য কোনও অধিনায়ক থাকত, তবে ৩০-৪০টি ম্যাচ ধরে অফ ফর্মে থাকার পর, কোনও প্লেয়ারকে সে দলে রাখত না।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা🐓 দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জেতার জন্য ক্রিকেট খেলি না, আইসিসি ইভেন্ট জেতার জন্য খেলি। গত ৪-৫ বছরে আমরা কি কোনো ইভেন্ট জিতেছি? যদি আমরা না জিতি, তাহলে আমি বলব গ্যাং আছে, বন্ধুত্ব আছে। আর আছে একজন এজেন্ট যে, গত ৪-৫ বছর ধরে নানা কারসাজি করছে এবং তোলা তুলছে।’
আরও পড়ুন: প♎্রত্যাবর্তনটি দেখার মতো হবে… বল হাতে অনুশীলন শুরু,২২ গজে ফেরার বড় ইঙ্গিত শামির- ভি♏ডিয়ো
যখন শেহজাদকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তানের স্কোয়াডে থাকা বহু প্লেয়ারেরই সরফরাজ আহমেদের অধিনায়কত্বে অভিষেক হয়েছিল, তখন আক্রমণাত্মক ওপেনার বলেন যে, আহমেদ ২০১৭ সালে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছিলেন। কিন্তু বাবর কোনও আইসিসি টুর্নাꦺমেন্ট জেতাতে পারেননি।
তিনি বলেছেন, ‘ওরা (সরফরাজ আহমেদ অ্যান্ড কোং) ফলাফল করে দেখিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। এটি ন্যায়সঙ্গত। আপনাকে দীর্ঘ সময় সুযোগ দেওয়া হয়েছে, জেতাতে না পারলে অধিনায়ককে সরতেই হবে। কিন্তু তার পর আবার বাবরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমি বুঝতাম, যদি ও এমএস ধোনি হত, তবে ওকে ফিরিয়ে আনার কারণ। কিন্তু শাহিনের সঙ্গে যেটা করা হয়েছে, সেটা অন্যায় করা হয়েছে। দু'ট𒐪ি ম্যাচের জন্য ক্যাপ্টেন করে ওকে সরিয়ে দেওয়া হল।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলকে নিঃসন্দেহে কোচিং করাতে পছন্দ করব- এবার নিজের মনের ইচ্ছের কথা প্রকাশ করলেন 🔯সৌরভ
২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তান অত্যন্ত খারাপ ফল করার পর, বাবর পাকিস্তানের অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এর পর শান মাসুদকে টেস্ট অধিনায়ক মনোনীত করা হয়, আর শাহিন শাহ আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু শাহিনের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-৪ ব্যবধানে হারার পর, তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পিএসএলে বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলারের খারাপ পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বের জেরে লাহোর কালান্দার্স ১০টির মধ্যে মাত্র একট⛄ি ম্যাচ জিতেছিল। এ💞র পরেই শাহিনকে সরানোর পরিকল্পনা করে পিসিবি। বাবরকে সাদা বলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পাক অধিনায়ককে নিয়ে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে ঝামেলা
পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ইমরান নাজিরও এই শোতে ছিলেন। ইমামকে আবার বাবরের সমর্থনে বলেন, ‘বাবরকে ওর সম্মতি ছাডꦅ়াই অপসারণ করা হয়েছিল এবং ওর সম্মতি ছাড়াই পুনর্বহাল করা হয়েছে। বোর্ড ওকে পুনরায় অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেছে। ২০২১ সালে আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলাম। পরে ২০২২ সালে, আমরা ফাইনাল খেলেছিলাম। তবে সেই ম্যাচ আমরা জিততে পারিনি। এটি নিয়ে একটি বিতর্ক হতে পারে, আপনি বলতে পারেন, বাবর এই খেলোয়াড়দের পছন্দ করে, তবে এটিকে বন্ধুত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।’
এর পরেই ইমাম ও শেহজাদের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়। আহমেদ শেহজাদ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে, ইমাম একটি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন, তিনি তরুণ। ওঁর বয়সে আমরা একই কথা বলেছিলাম। আমার ৩৪ বছর বয়স, এবং এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি চূড়ান্ত হতাশ। আমরা চাই যে, জিনিসগুলি আরও ভাল হোক। যখন আপনি ৪-৫ বছর ধরে ফর্মে না থাকা প্লেয়ারদের ধরে রাখছেন, তখন কিন্তু যাঁরা ঘরোয়া🍒 ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করছেন, তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করছেন।’
ইমাম-উল-হক পাল্টা বলেন, ‘আমি একটি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছি। আমি গত ৬-৭ বছর ধরে খেলছি কিন্তু আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, যখন আম🐓ার বয়স ৩৬ হবে, তখন আমার অবস্থান একই থাকবে। যদি কারও সমস্যা হয়, ২৮ বছর বয়স হলেও, তারা একই কথা বলতে পারে।’