বাউন্স, বাউন্স, বাউন্স- যখন থেকে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্ট পার্থে দেওয়া হয়েছে, তখন থেকে সেই শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছে প্রত্যেকের। অস্ট্রেলিয়ার তো একটা ‘মাইন্ড গেম’-র ব্যাপার থাকেই। সে🧸ই পরিস্থিতিতে যে তরুণ খেলোয়াড়রা প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন, তাঁদের মনে কোথাও যেন একটা ভীতি তৈরি হয়ে যায়। সারাক্ষণ সেটাই মনে ঘোরাফেরা করে। আর সেই ভীতি দূর করতে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর এমন পেপটক দিয়েছিলেন, যা কোনওদিন ভুলতে পারবেন না বলে জানালেন ন🐬ীতীশকুমার রেড্ডি। আর সেটাই পার্থে নামার আগে তাঁকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল।
‘দেশের জন্য তুই বুলেট হজম করছিস….’
পার্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলার শেষে সাংবাদিক বৈঠকে নীতীশ বলেন, ‘আমিও পার্থের (বাউন্স) নিয়ে অনেক কথা শুনেছিলাম। 🎃(পার্থ টেস্টের আগে) আমরা যে প্র্যাকটিস সেশন করেছিলাম, তারপরে যেটা হয়েছিল, সেটা আমার মনে আছে। প্র্যাকটিসের পরে গৌতম স্যারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। গৌতম স্যার বলছিলেন যে যখন তোর দিকে কোনও বাউন্সার ধেয়ে আসবে বা সেরকম কোনও বল পাবি বা দুর্দান্ত স্পেলের মুখে পড়বꦓি, তখন মনে করবি যে দেশের জন্য তুই বুলেট হজম করছিস। সেটা আমায় খুব সাহায্য করেছে। ওই কথাটা আমায় আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল।’
প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান নীতীশের
আর সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন নীতীশ। তিনি যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও প্রবল চাপ ছিল। সে♚খান থেকে দাঁড়িয়ে ৫৯ বলে ৪১ রান করেন। ছ'টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। তাঁর কারণেই ভারত প্রথম ১৫০ রান করতে পেরেছে। যে রানটা প্রথম দিনের শেষে অনেকটাই মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের যম হেডকে স্বপ্নের বলে ফেরত পাঠালেন হর্ষিত꧙, ফের SRH-কে হার👍াল KKR, রসিকতা নেটপাড়ার
আপার কাটে কামিন্সকে ছক্কা নীতীশের
আর সেই ৪১ রানের ইনিংসে প্যাট কামিন্সের বলে আপার কাটে যে ছক্কাটা মারেন নীতীশ, সেটা বাঁধিয়ে রাখার মতো। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের বলে একটা ভালো চারও মারেন। নাথান লিয়নের উপরে ভালোমতোই ছড়ি ঘোরান। বিশেষত লিয়নের বলে যখন তিনি মারছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঋষভ পন্ত। আর অজি স্পিনার যে পন্তের কতটা 'প্রিয়’, সেটা মোটামুটি সকলেই জ🌜ানেন। তারপরও যে পন্তকে ছাপিয়ে যান নীতীশ, সেটা থেকেই তাঁর ব্যাটিং দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়।
ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের হয়ে খেলে লাভ হয়েছে, দাবি নীতীশের
আর সেটার ক্ষেত্ꦍরে মানসিকভাবে যেমন গম্ভীরের পেপটক উদ্বুদ্ধ করেছিল, তেমনই টেকনিক্যালি নীতীশের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের সফর। ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের হয়ে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলেন নীতীশ। আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন পার্থে ব্যাটিংয়ের সময়।ꦇ
বিষয়টি নিয়ে পার্থে প্রথম দিনের শেষে ভারতের তরুণ অল-রাউন্ডার নীতীশ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে খেলাটা আমায় খুব সাহায্য করেছে। তখনই প্রথমবার আমি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে খেলেছিলাম। ভারতের থেকে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে অনেকটাই আলাদা। বাউন্সের মতো ব্যাপার থাকে। তবে হ্যাঁ, ইন্ডিয়া এ সিরিজটা আমায় খুব সাহায্য করেছে।𓂃’