বাংলাদেশের কাছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পরাজিত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে নজর কেড়েছে জয়ডেন সিলসের কৃপণ বোলিং। একটা সময় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রান করাই কঠিন হয়ে পড়েছিল মেহেদি হাসান মিরাজের দলের জন্য। টেস্ট ক্রিকেটে এক নতুন নজির গড়লেন সিলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেসার প্রথম ইনিংসে ১৫.৫ ওভার বল করে ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। যার মধ্যে ১০ ওভার মেডেনই করেন তিনি। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ০.৩১। ২০০০ সালের পর থেকে এক ইনিংসে অন্তত ১৫ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে তিনিই টেস্টের ইতিহাসে কৃপণতম। ভ♑েঙে দেন উমেশ যাদবের রেকর্ড।
উমেশ ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। দিল্লিতে এক টেস্টে তিনি ২১ ওভার বল করে ০.৪২ ইকোনমি রেটে রান দিয়েছিলেন। নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। জয়ডেন সিলস তাঁর রেকর্ড ভাঙ্গায় খুশিই হ🎐য়েছেন উমেশ। নিজের এক হ্যান্ডেলে জয়ডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন- ‘অভিনন্দন জয়ডেন সিলস, অসাধারণ পারফরম্যান্সে- ০.৩১ ইকোনমিতে ৪ উইকেট! তুমি আমার রেকর্ড ভেঙেছ , আমি টেস্ট ক্রিকেটে এমন প্রতিভাকে উন্নতি করতে দেখে খুশি হব♓। গেমের বিশুদ্ধতম রূপটি দক্ষতা, ধৈর্য এবং চরিত্র পরীক্ষা করে এবং তুমি এই সব কিছুতেই পাশ করেছ।’
অন্য দিকে, উমেশের রেকর্ড ভাঙলেও সব ধরনের বোলারদের মধ্যে টেস্টে কৃপণতম বোলিংয়ের রেকর্ড রয়েছে আর এক ভারতীয়র দখলে। তিনি হলেন বাঁ-হাতি স্পিনার বাপু নাদকার্নি। এক ইনিংসে অন্তত ১০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণতম বোলার তিনিই। ১৯৬৪ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ৩২ ওভার বল করে ২৭ 𝔍ওভারই মেডেন রেখেছিলেন নাদকার্নি। দিয়েছিলেন মাত্র ৫ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি খরচ করেছিলেন ০.১৫ রান। সেই ক্ষেত্রে এই তালিকায় নাদকার্নির পর দ্বিতীয় স্থানে থাকলেন সিলস।
উল্লেখ্য, লড়াই করেও দ্বিতীয় টেস্টে প𝔍রাজিত হতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সিলসের বোলিংয়ের দাপটে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ রান তোলে। জবাবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৮ রান তোলে বাংল🌸াদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮৭ রানের। কিন্তু ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ১০১ রানে টেস্ট জিতে সিরিজ ১-১ করে দেয় বাংলাদেশ।