আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র মাস খানেক বাকি। ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে ১৪ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। টিকিট কেনার জন্য ভক্তদের মধ্যে চলছে তুমুল রেষারেষি। ভারতের প্রাক্তন পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ বলেছেন, বিসিসিআই-কে এই বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে এবং টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা🌱 বজায় রাখতে হবে।
ভ𝓰ারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচটি হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্ষমতা এক লাখ। একই সঙ্গে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ বলেছেন, বিসিসিআইয়ের উচিত দর্শকদের জন্য অন্তত সাড়ে ৮ হাজার টিকিট রাখা🌜।
প্রসাদ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিসিসিআই-কে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। এবং অনুরোধ করে🧸ছেন, অনুরাগীদের কথা ভুলে না যেতে। এবং কর্পোরেট সংস্থা ও সদস্যদের টিকিট দেওয়ার পরিবর্তে সমর্থকদের জন্য বেশির ভাগ টিকিট সংরক্ষণ করার কথা বলেছেন প্রসাদ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসাদ লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া কখনও-ই খুব🥂 সহজ ছিল না। তবে এবার আগের চেয়ে কঠিন হয়েছে। আরও ভালো পরিকল্পনা করা যেত এবং আমি অনুরাগীদের জায়গাটা অনুভব করছি, যারা উচ্চ আশা নিয়ে বসেছিল। এবং টিকিট পেতে লড়াই করেছিল। আমি আন্তরিক ভাবে আশা করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের একজন, ভক্তরা তাদের মূল্য পাবে এবং আমি আশা করি @BCCI ভক্তদের জন্য এই বিষয়টি সহজ করে তুলবে।’
তিনি আ🍌র একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি @BCCI-কে অনুরোধ করছি বিশ্বকাপের টিকিট ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য এবং ভক্তদেরকে ছোট করে না নেওয়ার জন্য। অবশ্যই আমদাবাদের মতো একটি স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের জন্য বিক্রি হওয়াবশ্যই, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভক্তদের জন্য ৮,৫০০ টিরও বেশি টিকিট পাওয়া উচিত, যেখানে ধারণক্ষমতা এক লক্ষেরও বেশি।’
আরও পড়ুন: ‘অফস্পিনার হলে ভালো হত কিন্তু…’ ভারসাম্য়ের🐼 দোহাই দিয়ে অশ্বিন গুগলি খেললেন আগরকার
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘অন্য সব ম্যাচের জন্য একই ভাবে, ভক্তদের জন্য একটি বড় অংশ টিকিট থাকা দরকার। কর্পোরেট এবং সদস্যদের জন্য একটি বড় অংশ সংরক্ষণ করার পরিবর্তে ডাইহার্ড 🃏ফ🎉্যানকে খুশি রাখা এবং এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না করাটাই আরও সন্তোষজনক বিষয় হবে।’
বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বুক মাই শো। চোখের নিমেষে টিকিট বিক্রি হয়েছে বুক মাই শো থেকে। এছাড়া সেকেন্ডারি অ্যাপ ভিয়াগোগো ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বকাপের ১০০টি টিকিট। তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান, ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের টিকিট রয়েছে। ভিয়াগোগোতে টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ দর্শকদের। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের জন্য আগে থেকে কেনা টিকিটগুলি অনলাইনে ১৯ লক্ষতে বিক্রি করা হচ্ছে। লখনউয়ে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখতে হলে ২.৩৪ লাখ টাকা 💮খরচ করতে হবে। দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটির টিকিট মূল্য ৩৮ হাজার ৮৭৭ টাকা থেকে ২.৩৪ লাখ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। চেন্নাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটির জন্য টিকিটের মূল্য ৩১ হাজার থেকে ৯.৩ লাখ প🐭র্যন্ত রয়েছে। টিকিটের দাম দেখে মাথায় হাত দর্শকদের। তাঁদের প্রশ্ন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কী আদৌ এই বিষয়ে কিছু জানে?
জ🌸ানা যাচ্ছে, এই ধরনের টিকিট বিক্রির প্ল্যাটফর্মে যেমন টিকিট রিসেল হয়, তেমনই কেউ নিজের অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করতে পারেন। সেটিই আবার বেশি দাম দিয়ে অনেকে কিনে থাকেন। এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে যে টিকিট বিক্রি হয় তা ভুয়ো বা জাল নয় বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও ভারতে কী ভাবে তা চলছে সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না কারও।