রবিবার জিলংয়ের সিমন্ডস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পার্থ স্কোর্চার্স এবং মেলব🏅োর্ন রেনেগেডসের মধ্যে বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) ম্যাচটিতে ‘পিচ-কেলেঙ্কারি’। পিচের জেরে মাত্র ৬.৫ ওভার পরে পরিত্যক্ত হয় খেলাটি। পিচের ‘বিপজ্জনক’ অবস্থা ছিল। খেলা বন্ধ করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। পꦇরে মাঠ পরীক্ষা করে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মাঠে অপ্রত্যাশিত বাউন্স ছিল। যে কারণে যা দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঠের আম্পায়ারকে এই বিষয়ে জানান, ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ম্যাচটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে ম্যাচের আগের দিন রাতে জিলং-এ প্রচুর বৃষ্টি হয়েছি𝕴ল। যার ফলে কভারের নিচে ঢাকা পিচেও জল জমে যায়। ম্যাচ শুরুর আগে পর্যন্ত সেই জল শুকানোর চেষ্টা চালালেও, তা পুরোপুরি সফল ভাবে করা যায়নি।ফলে পিচে সেই ভেজা প্যাচগুলি দেখা গিয়েছে। ম্যাচ শুরুর আগে পিচে স্যাঁতসেঁতে জায়গা নিয়ে উদ্বেগ ছিল এবং টসের সময় তা তুলে ধরা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ডাক্তার ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে গিয়েছে পাকিস্তান, এ যেন পাཧড়ার ক্রিকেট
টস জিতে স্কোর্চার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পর রেনেগেডসের অধিনায়ক নিক ম্য💮াডিনসন বলেন, ‘উইকেট একেব🔯ারে ভিজে গিয়েছে। তাই আমরা শুধু দেখতে চাই কী ঘটতে যাচ্ছে।’ খেলা যখন বন্ধ হয়, তখন ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩০ রান ছিল পার্থ স্কোর্চার্স। ২০ রানে ব্যাট করা অ্যারন হার্ডি প্রথমে মাঠের আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেন এবং পিচে ব্যাটিং করার অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। ৩ রানে ব্যাট করা জোশ ইংলিসও অভিযোগ করেন। কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং আবার সেখানে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন, সপ্তম ওভারে অসম বাউন্স দেখার পর এটিকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক এবং মেলবোর্ন রেনেগেডস তারকা অ্যারন ফিঞ্চ⭕, সম্প্রচারকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার উদ্বেগ তুলে ধরে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা যদি এই পিচে খেলা চালিয়ে যায়, তবে তাদের শরীরে বা হেলমেটে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
ইনিংসের সপ্তম ওভারে উইল সাদারল্যান্ডের পঞ্চম ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ার পর অস্বাভাবিক আচরণ করলে, এই নিয়ে আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ব্যাটসম্যান জোশ ইংলিস। তখনই ম্যাচ বন্ধ করে দেন দুই আম্পায়ার। সিদ্ধান্ত নেন, মাঠের প🅰রিস্থিতি পরখ করা হবে। এর কিছুক্ষণ পর এই উইকেটে খেলা চালানো সম্ভব নয়🦋 জানিয়ে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তাঁরা। খেলা বন্ধের আগে স্কোর্চার্সের রান ছিল ২ উইকেটে ৩০। অ্যারন হার্ডি ২৩ বলে ২০ আর ইংলিস ৭ বলে ৩ রানে ব্যাট করছিলেন।