বিধ্বংসী ব্যাটিং করে কানপুর টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করেছিল ভারত। কিন্তু সেই♎ বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য ঝুঁকিও নিতে হয়েছিল। আর সেই ঝুঁকিটা যে রোজ কাজে দেবে, এমন নয়। কখনও-কখনও পুরো পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারꦐে। আক্রমণাত্মক হওয়ায় বিপক্ষ উইকেট পেয়ে যেতে পারে। তারপরও তাঁরা কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেই ঝুঁকিটা নিতে চেয়েছিলেন বলে জানালেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মঙ্গলবার বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারানোর পরে রোহিত বলেন, 'আমরা সেই ঝুঁকিটা নিতে তৈরি ছিলাম। আপনি যখন এরকমভাবে ব্যাটিং করেন, তখন কম রানের মধ্যেও অল-আউট হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আমরা সেটার জন্য তৈরি ছিলাম। ওরকমভাবে খেলতে গিয়ে আমরা যদি ১০০-১৫০ রানে অল-আউট হয়ে যেতাম, সেটার জন্যও আমরা প্রস্তুত ছিলাম।’
‘ওয়াক দ্য টক’ ক্যাপ্টেন রোহিতের
আর সেই মানসিকতাই ভারতীয় দলকে আমূল বদলে দিয়েছে। আক্রমণাত্মক হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। নিয়েছে ঝুঁকি। আর নিজে একেবারে সামনে থেকে সেই কাজটা করেছেন রোহিত। ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে নিজে কাজটা করে দেখিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ও নিজে কাজটা করেছিলেন। আর কানপুরেও তিনিই দলের বাকিদের কাছে উদাহরণ তৈরি করে দেন। প্রথম ইনিংসের প্রথম দু🧔টি বলেই ছক্কা হাঁকান। ইংরেজিতে সেই জনপ্রিয় প্রবাদ আছে 'ওয়াক দ্য টক'꧂, ঠিক সেটাই করে দেখান রোহিত। বাকিরাও সেই পথে হাঁটেন।
রোহিতদের ক্যারিশমায় হতবাক দুনিয়া
সেই স্ট্র্যাটেজিতে প্রায় আড়াই দিন একটাও বল না গড়ানোর পরে দেড় সেশন বাকি থাকতে কানপুরে যেভাবে ভারত জিতল, তাতে হতবাক হয়ে গিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন যে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ার পরে যেভাবে ভারত ব্যাটিং করে, সেটাই জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে দিয়েছে। সকলে যখন ভেবেছিলেন যে ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে, সেইসময় রোহিতরা জয়ের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন। আর শেষপর্যন্ত সা🐠ত উইকেটে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যা🌌ম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার মগডালে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।
‘পিচে কিছু ছিল না, তাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স’
আর সেই পরিকল্পনার প্রসঙ্গে টেস্টের শেষে রোহিত বলেন, ‘আড়াই দিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে চতুর্থ দিনে যখন আমরা এসেছিলাম, তখন আমরা ওদের (বাংলাদেশ) যত দ্রুত সম্ভব আউট করে দিতে চাইছিলাম। আর তারপর ব্যাট হাতಞে আমরা কী করতে পারি, সেটা দেখা যাবে বলে পরিকল্পনা করেছিলাম। ওরা যখন ২৩০ রানে (২৩৩ রান) অল-আউট হয়ে গিয়েছিল, তখন বিষয়টা এরকম ছিল না যে আমরা কত রান তুলছি। বিষয়টি ছিল যে আমরা কত ওভারে রানটা তুলতে পারি। পিচে তেমন কিছু ছিল না। সেই পরিস্থিতিতেও ম্যাচটা জিতে যাওয়ার বিষয়টা দুর্দান্ত। দারুণ পারফরম্যান্স।