ভারতের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর আবারও ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এমএস ধোনিকে খোঁচা দিয়েছেন। বলেছেন যে, মিডিয়ার লোকজন এবং ভক্তরা কেবল অধিন🍰ায়কেরই গুণগান করেন।বাকি খেলোয়াড়দের তাঁরা একেবারে যেন ম💯ুছেই ফেলেছেন। ভুলে গিয়েছেন, বাকিরাও শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন।
২০১১ সালের ২ এপ্রিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে ১৯৮৩ সালের পর ফের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছ🤡িল ভারত। সে বার টিম ইন্ডিয়াই ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ী প্🏅রথম আয়োজক দেশ হয়ে ওঠে। গৌতম গম্ভীর ৯৭ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। এমএস ধোনি আবার ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ভারত ২৭৫ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
নুয়ান কুলাসেকারা ৪৯তম ওভারে বল করতে এসেছিলেন। সেই ওভারের দ্বিতীয়⭕ বলে ধোনি একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। এবং দ্বিতীয় বারের জন্য দেশকে ওয়ানডে-তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বোলার হিসেবে T20-তে সিরিজ সেরা হয়ে নজির বুমরাহের,শুধু ভুবিকে ছাড়ানোর অপ𝕴েক্⛦ষা
সেই ভারতীয় দলে প্রায় প্রতিটি প্লেয়ারই কোনও না কোন ভাবে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে সম্মিলিত ভাবে অবদান রেখেছিলেন। যেমন যুবরাজ সিং, যিনি ৩৫০ রান করেছিলেন এবং ১৫টি উইকে𒉰ট নিয়ে সির𓂃িজের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। সচিন তেন্ডুলকর, যিনি টুর্নামেন্টে দু'টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এছাড়া বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, মুনাফ প্যাটেল, জহির খানরা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন। তবে গম্ভীরের মতে, এত কিছুর পরেও সেই জয়ের জন্য ধোনিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মতে, ‘আমরা ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য যুবরাজকেই যথেষ্ট কৃতিত্ব দিইনি।’
২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলতে ২০🌺১১♛ সালের ২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গৌতম গম্ভীর এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি যে ব্যাট হাতে অমূল্য অবদান রেখেছিলেন, তা কোনও গোপনীয় বিষয় নয়। তবে গম্ভীর বলেছেন যে, যুবরাজ, জাহির খান, সুরেশ রায়না এবং মুনাফ প্যাটেলদের মতো প্লেয়াররাও অন্যদের মতোই শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আরও পড়ু༺ন: এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপের আগেই স্ত্রীর চালে চাপে শামি, জামিন পেতে দৌড়তে হবে আদালতে
গম্ভীর Rev Sportz-এ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা কি যুবরাজ সিংকে ২০১১ বিশ্বকাপে তার দুরন্ত পারফরম্যান্সের জন্য যথেষ্ট কৃতিত্ব দিয়ে থাকি? জহির খানের উদ্বোধনী স্পেল নিয়ে কি আমরা যথেষ্ট উদযাপন করি? চার মেডেন ওভার দিয়ে বিশ্বকাপের ফা🐠ইনাল শুরু করা অবিশ্বাস্য, তবুও ওকে যথেষ্ট কৃতিত্ব দেওয়া হয় না। আমরা কি সচিন তেন্ডুলকরের প্রচেষ্টাকে যথেষ্ট উদযাপন করি?’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ধোনিকে নিয়ে বেশি লাফালাফি করি। কিন্তু ক'জন মনে রেখেছেন যে, কে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন, কার নামে দু'টি সেঞ্চুরি ছিল? আমরা কি মোহালিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হরভজন সিংয়ের স্পেল বা আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবং মোহালিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুরেশ রায়নার ইনিংস নিয়ে লাফাল෴াফি করি? এই দুটি ইনিংসই ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছিল।’
তিনি আরও যোগ করেছেন যে, এমএস ধোনির ইনিংসটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উদযাপন করা হয়েছে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। যখন পুরো দলের অবদানের কথা সকলে বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। গম্ভীর তাই বলেছেন, ‘যখন আমরা ফাইনালে এমএস ধোনির ইনিংস উদযাপন করি, আমাদের এই অন্যান্য প্রচেষ্টাগুলিকেও উদযাপন করা উচিত। এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল এবং সেই ভাবেই উদযাপন করা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে সব সময়ে দলের চেয়ে ব্যক্তিদের নিয়ে বেশি মাতামাতি করওার প্রবণতা রয়েছে।’