ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে বিরতি নেওয়ার পর থেকে গত এক মাস ধরে ক্রমাগত খবরে রয়েছেন ইশান কিষান। যদিও বিসিসিআই তার বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিল। তবে অনেক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সফর শেষ হওয়ার পরে ইশান কিষানের গেম টাইমের অভাব নিয়ে অনেকেই ভ্রু তুলেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের জন্য ইশান কিষানকে ২২ গজে পারফরম্যান্স করতে হবে। ইশান অবশ্য রঞ্জি খেলছ💟েন না। তিনি আইপিএলের জন্য এখন প্রস্তুত হচ্ছেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটে ইশান কিষানের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ইশান কিষানকে এবার বিসিসিআই-এর চুক্তি থেকে বের করে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে, (তাঁর একটি গ𓄧্রেড সি বার্ষিক চুক্তি রয়েছে ১ কোটি টাকার), বিসিসিআইয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় চুক্🦹তির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি।’
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের তুলনায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অগ্রাধিকার নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে, ভারতীয় কꩲ্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) খেলোয়াড়দের উন্নয়নে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করছে। এই প্রসঙ্গে ইশান কিষান এখন বড় উদাহরণ। ইশানের মতো প্লেয়ারদের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জড়িত থাকার অনিচ্ছা ক্রিকেটীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাচ্ছেন হার্দিক।
আরও পড়ুন: বুমরাহ কোথ𝓰ায়? তৃতীয় টেস্টের আগে ভারত༒ীয় দলে অনুপস্থিত তারকা পেসার- রিপোর্ট
বিসিসিআইয়ের একজন আধিকারিক এই বিষয়ে আলোকপাত করে বলেছেন, ‘আমরা হার্দিক পাণ্ডিয়ার কেস বুঝতে পারি, কারণ ওর শরীর লাল🧸 বলের ক্রিকেটের কঠোরতা নিতে পারে না। ও টেস্ট ক্রিকেটের কাজের চাপ সহ্য করতে পারে না এবং আইসিসি ইভেন্টের আগে ওকে টিম ইন্ডিয়ার জন্য ফিট করা দরকার।’
তবে খেলোয়াড়দের নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে❀, প্লেয়ারদের পেশাদার প্রতিশ্রুতির চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে। পিটিআই-কে বিসিসিআই-এর কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অন্যཧান্য কিছু যুবক, যখনই আপনি ওদের কল করবেন, ওরা উল্লেখ করবে যে, বর্তমানে ফিজিয়োর সঙ্গে কাজ করছে। এসব কোথাও একটা থামানো দরকার।’
জানা গিয়েছে, বিসিসিআই ইশান কিষানকে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের আসন্♋ন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ইশান কিষানের অনিচ্ছা নিয়েও বিরক্ত বিসিসিআই। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটকে গুরুত্ব না দিয়ে, বরোদায় তাঁর আইপিএল দলের সঙ্গে প্রশিক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। আর এই পরিস্থিতিতে, বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা খেলোয়াড়দেরকে শুধুমাত্র আইপিএলে মনোনিবেশ করা থেকে বিরত রাখতে, একটি কঠোর নীতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।
তাঁর মতে, ‘বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা ভালো করেই জানেন যে, কিছু খেলোয়াড় লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চꦺান না।’ এই কর্মকর্তা বলেছেন যে, ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সংখ্যক রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে খেলাটা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টও খেলোয়াড়দের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলার প্রতি অনীহা প্রদর্শনে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ল্যান্ডস্কেপের মধ্যে খেলোয়াড়ের প্রতিশ্রুতি এ♚বং বিকাশের বিষয়ে বৃহত🌌্তর উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে।