আসলে পিচকে ডাস্টবল, র্যাঙ্ক টার্নার, রেসলিং পিচ নানা ভাবে বর্ণনা করা হয়। তবে ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না। এর একটি কারণ হল টার্নিং ট্র্যাকের কথা বলা হয়। টার্নিং পিচে তিনদিনেই একটা টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। সবুজ পিচে খেলা তিন💃দিনের টেস্টের চেয়েও এটাকে নিকৃষ্ট পিচ বলে বিবেচনা করা হোক, সেটা ভারতীয় ক্রিকেটাররা চান না। এটি এমন একটি পিচে যেখানে ব🏅্যাটিং করা সহজ নয়, এমনকি প্রতিপক্ষ দলের কম দক্ষ বোলাররাও দারুণ খেলেন।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও, ভারত পাঁচটি ভেন্যুতে তিনটিতে ম্যাচ খেলেছিল, যেখানে গড় পিচ তৈরি করা হয়েছিল। এখন একটি পিচ গড় বা ভালো তা বিতর্কের বিষয় হতে পারে। তবে ভারত নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পিচে খেলতে চেয়েছিল এবং আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছিল।ꦑ
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: আমাদ🐲ের আর অনুমতি দেওয়া হয় না- ভাইরাল হচ্ছে IPL নিয়ে ওয়াসিম আক্রমের মন্তব্য
এখানে যে বিষয়টি দেখা যায় সেটি হল, পেশাদার খেলার সুবিধা নেওয়ার মধ্যে কোনও দোষ নেই। গ্রাউন্ডসম্যানরা আদর্শ পিচ তৈরি করার জন্য প্রস্তুত হন না, তবে তারা এমন পিচ তৈরি করতে পারেন, যা হোম টিমকে জিততে সাহায্য করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া প্রায় সর্বত্রই এই ছবি দেখা যায়। ইংল্যান্ডের পিচগুলি ফাস্ট বোলারদের জন্য অন𝓡ুকূল করা হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচকরা পিচ তৈরির প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছেন। গৌতম গম্ভীর নিজে যখন একজন খেলোয়াড় ছিলেন, তখন তিনি ভারতের সফরকারী দলগুলোর জন্য র্যাঙ্ক টার্নার্স বানানোর কথা বলেছিলেন। এটি এমন একটি পিচে যেখানে ব্যাটিং করা সহজ নয়, এমনকি প্রতিপক্ষ দলের কম দক্ষ বোলাররাও দারুণ বল করছেন।
আরও পড়ুন… কেরিয়ারের শেষ বেলায় এসে মুখ পুড়ল! শাকিব বল করার সময় নাকি ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই 🅰ভাঙছেন? উঠছে প্রশꦓ্ন
এটা যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুণে এবং মুম্বইতে যে পিচে খেলেছে তা আসলে ভারতের হোম সুবিধা কমিয়ে দিয়েছে। গত ১২ বছরে ভারত ঘরের মাঠে যে সাতটি টেস্ট ম্যাচ হেরেছে, তার মধ্যে চারটি স্পিন-বান্ধব পিচে হয়েছে। অন্൲য তিনটি পরাজয়ের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরুর কাছে একটি পরাজয় যেখানে পিচে প্রাথমিকভাবে প্রচুর সীম ছিল, বিশেষ করে প্রথম দিনের সকালে, এবং হায়দরাবাদের কাছে একটি পরাজয়🌳 যা অলি পোপের একটি সৌভাগ্যজনক ইনিংস দ্বারা সম্ভব হয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডের ৩-০ ব্যবধানে জয়ে স্পিনারদের সমষ্টিগত গড় ছিল ২৪-এর কম। 🦂ESPNcricinfo-এর শিব জয়রামন বলেছেন যে ২০১৭ থেকে এখন পর্যন🅘্ত, যখনই টেস্টে স্পিনারদের গড় ২৪-এর কম ছিল, ভারতীয় স্পিনারদের গড় ছিল ১৬.৩৭ যেখানে স্পিনারদের গড় ছিল ২২.৯১।
রোহিত শর্মা ও রাহুল দ্রাবিড়ের যুগে ভারত টেস্ট ক্রিকেটে দেওয়া পিচ অনুযায়ী খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয় সত্ত্বেও তারা তা অব্যাহত রেখেছে। সেই সিরিজ তারা জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। মুম্বই ও পুণেতে 🌳টস জিতলে শেষ দুটি টেস্ট ম্যাচ জিততে পারত ভারত। কিন্তু এখন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সেই মানের ব্যাটসম্যান নেই ভারতের কাছে। ২০১৭ সাল থেকে, ভারত ১৬টি টেস্ট জিতেছে, পাঁচটি ড্র করেছে এবং পিচে তিনটি ম্যাচ হেরেছে যেখানে স্পিনারদের গড় উইকেট প্রতি ২৪-এর বেশি। যেখানে আরও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, ভারত ১ꦦ০টি ম্যাচ জিতেছে এবং চারটি ম্যাচে হেরেছে।