যদি এই টিমটা জীবনভর থাকত- আইপিএল জয়ের পরই মনটা🍒 যেন কিছুটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল শাহরুখ খানের। আর হওয়ারই কথা। অনেক বছরের প্রতীক্ষার পরে বিভিন্ন ‘উপকরণ’ বা ‘মশলা’ দিয়ে একটা ‘পারফেক্ট’ দল তৈরি করে আইপিএল জয়ের পরের বছরই সেটি ভেঙে যেতে পারে। কারণ পরের বছর মেগা নিলাম আছে। এখনও পর্যন্ত যা নিয়ম আছে, তাতে সর্বাধিক চারজনকে রিটেন করতে পারে যে কোনও দল। কিন্তু এবার যা খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর), তাতে সম্ভবত হলে পুরো দলটাই রিটেন করে রাখত নাইট ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। কয়েকজন বাদে প্রায় সব খেলোয়াড়কেই ছেড়ে দিতে হবে। নিলামের টেবিল থেকে কতজনকে পাওয়া যাবে, সেটা পুরোপুরি ভাগ্যের ব্যাপার। সেই পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে একটা দল তৈরি করতে হবে। চ্যাম্পিয়ন দল তৈরির রেসিপি খুঁজে আনতে হবে কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে। এবার যে চ্যাম্পিয়ন দল তৈরি করে ফেলেছে, সেটা সম্ভবত ভেঙে যাবে। আর সেই হতাশাটাই আইপিএল ট্রফি জয়ের মধ্যেই শাহরুখের গলায় ফুটে উঠেছে।
শাহরুখ ঠিক কী বলেছেন?
রবিবার চেন্নাইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ধ্বংস করে আইপিএল জয়🐬ের পরে কেকেআরের ড্রেসিংরুমে এসে শাহরুখ বলেন, 'এখান থেকে আমরা যেদিকেই যাই না কেন, আমি তোমাদের সাফল্য কামনা করছি।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত আবেগতাড়িত করে তুলেছ তোমরা। জীবনভর যদি এই টিমটা থাকত, কী ভালো হত।’ তারপর সেই মেজাজটা একটু হালকা করার জন্য তিনি বলেন, 'তোমরা আমার কথা শুনে যেতে। আর এরকম খেলা চালিয়ে যেতে (হাসি)।'
মন খারাপ হওয়া কি অস্বাভাবিক?
একেবারেই নয়। মন খারাপ হওয়ারই কথা। আইপিএলে একটা চ্যাম্পিয়ন দল তৈরি করতে গেলে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। ভারতের ত👍রুণ খেলোয়াড়, অনামী খেলোয়াড়, বিশ্বের তারকা খেলোয়াড়দের একই বিন্দুতে নিয়ে এসে তৈরি করতে হয় সাফল্যের রেসিপি। রান্নায় যেমন একটু নুন বা একটু মিষ্টি কম হলে কোনও পদের স্বাদটা বিগড়ে যায়, তেমনই একটু এদিক-ওদিক হাতে আইপিএল ট্রফি আসে না। গত ১০ বছর ধরে সেই রেসিপিটা খুঁজে পাচ্ছিল না কেকেআর।
অবশেষে যখন সেই রেসিপিটা পেল কেকেআর, তখন একই দল ধরে রেখে তিꦐন-চার বছর ধরে ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে চলেছে সম্ভবত। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে মেগা নিলামে এই দলটার সব খেলোয়াড়কে ফিরিয়ে আনতে চাইবে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। সেটা পারবে কিনা, তার উত্তর মিলবে নিলামের টেবিলে।