শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। ইতিমধ্যেই তিনটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে ভারতীয় দলের। অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিরুদ্🎉ধে সহজ জয় তুলে নিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে অজিদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একেবারে খুনে মেজাজে ব্যাট করতে দেখা যায় তাঁকে। ১৩১ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্𒁏ধেও প্রায় এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে যায়। দুরন্ত অর্ধশতরানে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এই রোহিত শর্মাই ২০১১ সালে দেশের মাটিতে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে লড়াই ছাড়েননি। ২-৩ মাসের জন্য একজন ট্রেনারকে সটান নিয়ে চলে আসেন নিজের বাড়িতেই! জাতীয় দলে ফিরতে এতটাই মরিয়া ছিলেন যে, বাড়িতেই ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে রাত দিন অনুশীলন শুরু করেন তিনি। আর এমন অজানা তথ্যকে সামনে তুলে এনেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি অমল মজুমদার।
৩৬ বছর বয়সী রোহিত শর্মা বর্তমানে ওডিআই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতকে। অধিনায়ক রোহিত হোক কিংবা ব্যাটার রোহিত, দুই ক্ষেত্রেই যথেষ্ট সফল তিনি। এমন আবহে রোহিতকে নিয়ে অজানা কাহিনী শুনিয়েছেন অমল মজুমদার। তিনি স্টার স্পোর্টসে 'ফলো দ্য ব্লুজ' অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘দেখুন রোহিত শর্মা ভারতের হয়ে ২০০৭ সালে খেলেছিলেন। টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি খেলেছিলেন। ভারতীয় দলের হয়ে তিনি সেবার শিরোপাও জিতেছিলেন। এরপর ওয়ানডে স্কোয়াডেও জায়গা পান রোহিত। তবে ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা পাযননি। তার পরে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে বান্দ্রা থেকে বরিভোলিতে চলে আসেন রোহিত। একজন ফিটনেস প্রশিক্ষককেও নিয়োগ করেন। ꦓওঁর বাড়িতেই সেই ট্রেনার থাকতেন। ২-৩ মাস থেকেছেন ওই ট্রেনার। ফিটনেসে সেই সময়ে খুব জোর দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই ফিরে আসেন জাতীয় দলে। এর পর আর রোহিতকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
অমল মজুমদার আরও যোগ করেন, ‘২০১১ সালে যে ভারতীয় দল বিশ্বকা♎প জিতেছিল, সেই দলে জায়গা না পেয়ে ভীষণ অখুশি ছিলেন রোহিত। হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এর পর যখন আইপিএলে অধিনায়কত্ব পান, তখন ওঁর উপর বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে। কাঁধে দায়িত্ব এসে পড়ায় ক্রিকেটার হিসাবে পরিপক্ক হতে ওকে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। এর পরে আর পিছনꦓে ফিরে তাকাননি।এটা এমন একটা সেটব্যাক ছিল যা খুব পজিটিভলি নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই নিজের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ওঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে আমি তিনটে জিনিস বলব। এক) রোহিত ডেটা এবং পরিসংখ্যানে বেশ জোড় দেন। এটা ওঁর পরিকল্পনার অন্যতম অঙ্গ। দ্বিতীয়ত) সমস্ত জিনিস খুব সোজা সাপ্টা রাখতে চান এবং সতীর্থরাও সেটাই রাখুন, সেটাই আশা করে থাকেন। তৃতীয়ত) দলে সবাইকে বেশ ধীরস্থির পরিবেশে রাখার চেষ্টা করেন সব সময়ে।’