২০১১-র সঙ্গে মিল রয়েছে বিস্তর, যা দেখে আশায় বুক বাঁধতে পারেন ভারতীয় সমর্থকরা। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ২০০৩-এর সঙ্গে এমন একটি ফারাকের প্রসঙ্গ সামনে আসে, যা দেখার পরে ভারতীয় সমর্থকরা কার্যত ෴নিশ্চিত যে, এবার হিসাব মিটিয়ে নেওয়া যাবে সুদে-আসলে।
ইতিমধ্যেই ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপের অবাক করা সব মিল চোখে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ২🐼০১১ সালে ভারত ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। ইঙ্গিত 𓂃যদি মিলে যায়, তবে ২০২৩ সালেও ভারত ফের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ট্রফি জিতবে বলে ধারণা ক্রিকেটপ্রমীদের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০০৩ সালে ভারত প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখো🔯মুখি হয়। ২০ বছর পরে ফের ও♔য়ান ডে বিশ্বকাপের খেতাবি লড়াইয়ে সম্মুখসমরে নামছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এবার ভারতের সামনে সুযোগ রয়েছে দু'দশক পরে হিসাবটা মিটিয়ে নেওয়ার।
২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ঠিক যেভাবে ফাইনালে ওঠে, এবার ভারত হুবহু একইভাবে খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট অর্জন করে। অন্যদিকে সেবার ভারতীয় দল যে রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ফাইনালে ওঠে, এবার ঠিক সেরকম ছবি দেখা গিয়েছে অজিদের ক্ষেত্রে। সুতরাং, এবার ফাইনালের ফলাফলটাও বদলে যেতে পা⛎রে বলে আশাবাদী ভারতীয় সমর্থকরা। দেখে নেওয়া যাক ২০০৩-এর সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপে দু'দলের অবস্থান বদলের ছবিটা।
আরও পড়ুন:- ইডেনের গ্যালারিতে ফিরল লর্ডসের স্মৃতি, খালি গায়ে জার্সি ওড়াꦡলেন খুদে ‘সৌরভ’- ভিডিয়ো
২০০৩ বিশ্বকাপ:-
১. অস্ট্রেলিয়া টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে।২. অস্ট্রেলিয়া লিগের ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দেয়।৩. ভারত টানা ৮টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে।৪. ফাইনালেও ভারতকে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া।
২০২৩ বিশ্বকাপ:-
১. ভারত টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে।২. ভারত লিগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয়।৩. অস্ট্রেলিয়া টানা ৮টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে।৪. এবা🎉র কি তাহলে ফাইনালেও অজিদের পরাজিত করবে ভারত?
২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপের কিছু উল্লেখযোগ্য মিল:-
প্🌜রথমত, ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার ৫ জন বোলার ২টি করে উইকেট দখল করেন🅠। ২০২৩ বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের ৫ জন বোলার ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
দ্বিতীয়ত, ২০১১-য় ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ভেঙে যায়। ২০২৩ বিশ্বকাপের আ𝔉সরেও ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ভেঙে যায়।
ꦕতৃতীয়ত, ২০১১-য় ওয়ান൩ ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ড গড়া হয়। ২০২৩ বিশ্বকাপের আসরেও ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের নতুন রেকর্ড গড়া হয়।
চতুর্থত, ২০১১ বিশ্বকাপে একজন ভারতীয় স্পিনার একটি ম্যাচে ৫ উইকেট নেন। ২০২৩ বিশ্বকাপেও একজন ভারতীয় স্পিনার একটি ম্য🔯াচে ৫ উইকেট নেন।
পঞ্চমত, ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন বিরাটꦦ কোহলি। এবার ২𒁏০২৩ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন বিরাট।
এতসব মিলের দিকে তাকিয়েই ভারতীয় সমর্থকরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন। ২০১১🌠 বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। তবে কি এবারও ট্রফি উঠবে ভারতের হাতে?