টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এ আফগানিস্তানে﷽র বিরুদ্ধে ২১ রানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। রশিদ ব্রিগেডকে অনেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এই তালিকায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের ওপেনার উসমান খোয়💟াজা। তিনিও আফগানিস্তান দলকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। উসমান খোয়াজা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)ও খোঁচা দিয়েছেন। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বহুবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্বীকার করেছে।
রশিদ খানের পোস্টে উসমান খোয়াজার বার্তা
রশিদ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ আফগান খেলোয়াড়দের একটি ছবি শেয়ার করেছেন এবং ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘আপন✃ি যদি বিশ্বাস করেন, অবিশ্বাস্য কিছু ঘটে! এমন একটি বিজয় যার জন্য আমরা সবাই গর্বিত হব। এটা তাদের সবার জন্য যারা আমাদের বিশ্বাস করেন।’ রশিদ খানের এই পোস্টে খোয়াজা লিখেছেন, ‘ভালো করেছেন ভাই। আজ আফগানিস্তানের পারফরম্যꦏান্স দুর্দান্ত ছিল। আপনার দলের খেলোয়াড়রা দেশ বিদেশের অনেক মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। এর মাঝেও দুঃখের যে আমরা আপনাদের সকলকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে দেখতে পারব না।’
আরও পড়ুন… T20 WC 2024 Super 8: IND vs AUS ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা! খেলা ভেস্তে গেলে সেমিফাইনালেরꩵ সমীকরণ কী হবে?
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে না অস্ট্রেলিয়া-
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে CA তিনবার আফগানি🔯স্তানের বিরুদ্ধে খেলতে অস্বীকার করেছে। তালিবানরা খেলাধুলায় মহিলাদের অংশগ্রহণ নিষ🧸িদ্ধ করেছিল। যা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিন্দা করেছিল। CA এর আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ বাতিল করেছিল, যেটি ২০২১ সালের নভেম্বরে হোবার্টে খেলার কথা ছিল। ২০২৩ সালের শুরুতে, বোর্ড মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কয়েক মাস আগে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ২০২৪ সালের অগস্টে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ স্থগিত করেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ না খেলা প্রসঙ্গে কী বললেন রশিদ খান-
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানিস্তান। ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে খেলা বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলা প্রসঙ্গে রশিদ খান বলেন, ‘আমরা ক্রীড়াবিদ। খেলাধুলো ভালবাসি। আমরা কী বা করতে পারি। আমরা আশা করতে পারি যে নিশ্চিত কিছু একটা সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের মানুষও খেলাধুলো ভালবাসে। দেশের মানুষের কাছে ক্রিকেটই সুখের একমাত্র উৎ﷽স। একমাত্র খেলা যেটা নিয়ে আফগানিস্তানের মানুষ উৎসব করতে পারে। যদি সেই সুখটাকেও আমরা কেড়ে নিই, তা হলে জানি না আফগানিস্তানের জন্য আর কী পড়ে থাকবে।’