শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই পাঁচটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে তারা শুরুটা ভালোই করেছিল। এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান এই তিন দলের কাছে সেরে এই মুহূর্তে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান একেবারেই অনিশ্চয়তার মুখে। সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। দলের সেরা ব্যাটার কাম অধিনায়ক বাবর আজম সহ গোটা দল এই মুহূর্তে বেশ চাপে রয়েছে। ঘরে বাইরে চাপ এতটাই বেড়েছে যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ পিসিবির তরফেও জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর বিশ্বকাপের পরেই বাবর আজমের অধিনায়কত্ব যাওয়ার চরম সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জায়গাই অধিনায়কত্বের দৌড়ে রয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ান। পাশাপাশি রয়েছে আরও একটি নাম যা বিস্মিত 🎃করেছে সকলকে। উঠে এসেছে চলতি বিশ্বকাপে না খেলা প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের নামও।
বিশ্বকাপের পরপরেই প💟াক দল যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। এছাড়াও রয়েছে ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ সালে দেশের মাটিতেই হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি। তাই অধিনায়কত্ব নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপের ভাবনা চিন্তায় রয়েছে পিসিবি। পিসিবির অন্দরের খবর অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ বাবর আজম পেয়েছেন। তবে তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি। তাতে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতন যোগ হয়েছে সোমবার চেন্নাইতে আফগানিস্তানের কাছে হার। যদিও এই হারের পরেও পাক দলের হাতে এখনও চারটি গ্রুপের ম্যাচ বাকি থাকছে। এই ম্যাচ গুলো জিতলেও সুযোগ থাকছে সেমিফাইনালে যাওয়ার।
পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান যদি চলতি বিশ্বকাপে মিরাকেল ঘটাতে পারে, সেমিফাইনালে যেতে পারে তবেই বাঁচতে পারে বাবরের অধিনায়কত্ব। না হলে শুধুমাত্র লাল বলের ক্রিকেটেই অধিনায়ক রাখা হতে পারে বাবরকে। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলে বাবর নিজেও অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। বাবরকে অধিনায়ক হিসেবে অনেক বেশি স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল সবক্ষেত্রে। তারপরেও এই পারফরম্যান্স অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। আর এই কারণেই এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের হতাশার জন্য বাবরকেই দায়ী করা হচ্ছে। দলে বিশ্বকাপের জন্য কিছু পর𓃲িবর্তনের কথা উঠলেও বাবর তা করেননি। তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকও। পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ, মিসবাহ উল হক এবং মহম্মদ হাফিজের দেওয়া উপদেশকেও উপেক্ষা করেন বাবর। পিসিবিতে এবার বাবরের পরিবর্তে অধিনায়ক হিসেবে নাম উঠে এসেছে সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ান এবং শান মাসুদের নাম। বিভিন্ন লবি তাদের ক্রিকেটারকে অধিনায়ক করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে। বোর্ড অবশ্য তিন ফর্ম্যাটে তিন আলাদা অধিনায়ক বেছে নিতে পারে। এখন পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে করে টেস্টে এবং ওয়ানডেতে অধিনায়ক হতে প♔ারেন সরফরাজ আহমেদ। টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। পাকিস্তান দলের মিকি আর্থার, গ্রান্ট ব্রাডবার্ন, মর্নি মর্কেল, অ্যান্ড্রু পুটিক এবং ম্যানেজার রেহান উল হককেও সরানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বকাপের পর অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজের জন্য কোচিং স্টাফের আমূল পরিবর্তন করা হতে পারে।’