বিরাট কোহলির রেকর্ড সেঞ্চুরি, ভ🐻ারতীয় ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের দাপটের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা রবিবাসরীয় ইডেনে একেবারে খড়কুটোর মতোই উড়ে যায়। চলতি আইসিসি বিশ্বকাপে ভারত আটে ৮ করে, তাদের অপরাজিত থাকার রেকর্ড এখনও পর্যন্ত অক্ষুন্ন রেখেছে। এর সঙ্গেই রোহিত শর্মা ব্রিগেড শীর্ষস্থানও পোক্ত করেছে। অর্থাৎ তারা এক নম্বর দল হিসাবেই সেমিফাইনালে খেলবে। তবে ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর লিগ পর্বে ভারতের চিত্তাকর্ষক অভিযানের পরেও, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে গাভাসকর দাবি করেছেন, পচা শামুকে পা কাটুক, কোন ভাবে চাইবে না টিম ইন্ডিয়া।
গাভাসকর স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেছেন যে, রোহিতের টিম ইন্ডিয়া আই☂সিসি বিশ্বকাপে সেরা দল। রোহিতের নেতৃত্বে, দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত আইসিসি টুর্নামেন্টের রাউন্ড-রবিন পর্বে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হ𝓡ারিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: সেমিতে ফের মুখোমুখি হবে রোহিত-বাবররা? এর জন্য অবশ্য মিল🥃তে হবে তিনটি অ♍ঙ্ক
গাভাসকর স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যদি চ্যাম্পিয়ন হতে চাও, তবে দেখিয়ে দাও যে, তুমি বড় ম্যাচ জিততে পারো। দেখিয়ে দাও, দীর্ঘ দিন ধরে চলা প্রতিযোগীতায় তুমিই সেরা দল।♊ এবং এই মুহূর্তে ভারতীয় দল ঠিক এটাই করছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ আছে, 𓄧তবে সেটি কার্যত নিয়মরক্ষারই, কারণ ভারত এখন এক নম্বরে। কিন্তু নক-আউট পর্যায়ে এসে তারা কোথাও হোঁচট খেতে চাইবে না।’
৫০-ওভারের ফর্ম্যাটে যৌথ ভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির নজির গড়ে ফেলেছেন কোহলি। তিনি চাইবেন, খুব দ্রুত সচিনকে ছাপিয়ে একক ভাবে ꧃সর্বোচ্চ ওডিআই সেঞ্চুꦦরির নজির গড়তে। কোহলির ১২১ বলে অপরাজিত ১০১ রান ভারতকে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান করতে সাহায্য করে। বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচডে-তে ছিল কোহলির ৩৫তম জন্মদিনও। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাস লিখে, নিজের জন্মদিনকে বিশেষ করে দেন বিরাট। মজার বিষয় হল, রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকা কোহলির একার রানও ছাপিয়ে যেতে পারেনি। কারণ তারা ২৭.১ ওভারে ৮৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত বিশ্বকাপের চূড়ান্ত রাউন্ড-রবিন ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে।
গাভাসকর যোগ করেছেন, ‘নকআউটে কিন্তু সমস্ত মেজাজ, ꦚম্যাচের প্রতি মানসিকতা পুরো বদলে যায়। কারণ গ্রুপ পর্বে সব সময়ে মাথায় থাকে, ওহ, আরও একটি ম্যাচ আসতে চলেছে। কিন্তু নকআউটে খারাপ দিন থাকলে, আর পরের দিন নেই। তাই ভারতকে জয়ের ছন্দই ধরে রাখতে হবে। আর ভারতীয় দল সেটাই করছ𒅌ে।’
২০১৯ সালের বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ভারত শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল। বাকি সব ম্যাচ তারা জিতেছিল। কিন্তু ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃষ্টি-বিঘ্নিত সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ভারত টুর্নামে💛ন্ট থেকে ছিটকে✃ গিয়েছিল।