শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম💧। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকের এই স্টেডিয়াম সাক্ষী থেকেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের। ওডিআই বিশ্বকাপ হোক কিংবা টি-২০ বিশ্বকাপ, একা♚ধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে এই মাঠের ২২ গজে। চিন্নাস্বামীর ২২ গজ বরাবরের ব্যাটিং সহায়ক। আইপিএলের শেষ কয়েকটি মরশুমে তা বারবার সামনে এসেছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যেমন বিভিন্ন দেশ বড় স্কোর করেছে, ঠিক তেমনই রান তাড়া করতে নেমেও সাফল্য এসেছে একাধিক বড় স্কোরের ক্ষেত্রে। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচ খেলা হয়নি চিন্নাস্বামীর ২২ গজে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা বেঙ্গালুরুর ২২ গজে এবারও রান বন্যার সাক্ষী থাকতে পারেন সমর্থকরা।
১৯৮৭ সাল থেকে শুরু করে ভারতের মাটিতে যত বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছে, সব বিশ্বকাপেই ম্যাচের আয়োজন করেছে এই আইকনিক ভেন্যু। আর কয়েক দিন বাদেই এই ভেন্যুতে খেলা হবে চলতি বিশ্বকাপে🌼র প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। আর এই ম্যাচেই ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝুরিঝুরি রানের অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেট সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: শুভমন দলে ফিরলে ✅বাদ পড়বেন কে? অশ্বিনের ফেরারꦰ সম্ভাবনা, সিরাজের বদলে শামি?
ভারতের বাকি ভেন্যুগুলোতে যখন বৃষ্টি হলে ম্যাচ সম্পূর্ণ করা নিয়ে সংশয় থাকে, তখন এই ভেন্যুতে সে রকম কোনও দ্বিধা একেবারেই থাকে না। কারণ মাঠ ঢাকা থেকে ড্রেনেজ সব ঢেলে সাজিয়েছে কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ভে🍎ন্যুতে রয়েছে সাব এয়𒊎ার ড্রেনেজ সিস্টেম। মাঠে যে কভার রয়েছে তার উপরে একটি আস্তরণ রয়েছে জামখানার। কি এই জামখানা? কর্ণাটক রাজ্যে হাতে বোনা রাগস বা অনেকটা বাংলায় যাকে বলে কাথার মতন জিনিস। এর উদ্দেশ্য হল মূল পিচকে বৃষ্টির পাশাপাশি ঘেমে যাওয়া থেকেও বাঁচানো। ২২ গজ বেশিক্ষণ কভার দিয়ে ঢাকা থাকলে তা ঘেমে উঠতে পারে। আর একথা মাথায় রেখেই এটা করা।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি রঘুরাম ভাট জানিয়েছেন, ‘পাঁচ ম্যাচের জন্য আইসিসি তিনটি পিচ বেছে নিয়েছিল। তাদের পরামর্শ মতন সেই পিচ তৈরি করি হ𓆏য়েছে। আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে আউটফিল্ডের খেয়াল রাখা হয়েছে। বৃষ্টিতে পিচের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এই চিন্নাস্বামীর ২২ গজ বরাবর ব্যাটারদের আনন্দ দিয়েছে। ২০১৩ সালে এখানেই অজিদের বিরুদ্ধে এক ওয়ানডে ম্যাচে ২০৯ রান করেছিলেন রোহিত শর্মা। আইপিএলে আরসিবির হয়ে মাত্র ৬৬ বলে ১৭৫ রান ক্রিস গ🅠েল এই পিচেই করেছিলেন। ২০১৩ সালে ওই ওয়ানডেতে অজিদের বিরুদ্ধে ভারত ৬ উইকেটে ৩৮৩ রানের বিরাট স্কোর খাড়া করেছিল। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, চলতি বিশ্বকাপেও এর অন্যথা হবে না। চিন্নাস্বামীর পিচে রাꦏন বন্যার সাক্ষী থাকবেন ক্রিকেট সমর্থকরা, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।