বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের হারের পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই রো꧅হিত শর্মাকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। কারণ তিনি যেভাবে উইকেট বিপক্ষকে দিয়ে এসেছেন, তাতে ম্যাচের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। রোহিত যে ওভারে আউট হন, তার আগে একটি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি সংগ্রহ করেন। তিনি নিজেও অর্ধশতরানের দোরগোড়াতেই ছিলেন। কিন্তু ট্র্যাভিস হেড দুর্দান্ত সেই ক্যাচ নিয়ে রোহিতকে ফিরিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, বলা ভালো তখন থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের গন্ধ তারা পেতে শুরু🅺 করে দেন।
রোহিতের এই শটের জন্য অনেক কথাও শুনতে হয়। শুধু ফাইনালেই নয়, বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচেই শুরুটা ভালো করলেও 🦄অর্ধশতরানের কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়েও কেন এমন পরিস্ꦅথিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। এবার এই রোহিতের ফাইনালে আউট হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর।
স্পোর্টস স্টারের একটি কলমে তিনি লিখেছেন, 'ট্র্যাভিস হেড সেদিন দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে। ওর ওই ক্যাট দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট। ভারতের ৩০০-এর বেশি রান পাওয়ার আশাকে ধূলিসাৎ꧒ করে দেয়। তবে আমার মতে, রোহিতকে আরও বুঝে শুনে খেলা উচিত ছিল। কারণ যতোই পাওয়ার প্লে থাকুক না কেন। আমার যখন ওভার শেষ না হতেই একটি চার এবং একটি ছয় চলে এসেছে, তখন আমাকে ধরে খেলতে হবে। কিন্তু রোহিত ফের আরেকটি ছক্কা মারতে যায়। তখন ঠিক করে ব্যাটে বল না লাগায় ক্যাচ উঠে যায়। তখনই ম্য়াচ ঘুরে যায়। আমার মনে হয়, রোহিত যদি একটু তাড়াহুড়ো কম করত, তাহলে খুব ভালো হত। কারণ শুভমন আউট হয়ে গিয়েছে তখন। সেই মুহূর্তে ধরে খেলে বড় রানের পার্টনারশিপ করা উচিত ছিল।'
রোহিত আউট হওয়ার পর বিরাট একাই দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অর্ধশতরান করেন। তবে শ্রেয়স আইয়ার ব্যাট করতে নামতে না নামতেই সেট হওয়ার আগেই ফিরে যায়। পরপর দুই উইকেট হারানোয় অনেকটাই চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই বিরাটই দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তবে বিরাট ফিরে যাওয়ার পর বাউন্ডারি দেখা যায়নি সেই ভাবে। এই নিয়ে গাভাসকর আরও লেখেন, 'অস্ট্রেলিয়ার জন্য পঞ্চম বোলারের কোটা সবসময়ই কিছুটা লটারির মতো ছিল। এবারও এ♛টাই কাজ করেছে। কারণ এটি শুধুমাত্র ভারতীয় অধিনায়কের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটই পায়নি বরং অন্যান্য ভারতীয় ব্যাটারদের অনিয়মিত বোলারদের আরও যত্ন সহকারে খেলতে বাধ্য করে🐟ছে। যার ফলে অন্তত ৩০ রানে হারতে হয়।' তবে একটা সময় গ্রুপ পর্বের ম্যাচও রোহিত এমনটাই খেলেন। তখন তাঁর খেলার প্রশংসা করেন গাভাসকর। কিন্তু ফাইনালে একই রকম খেলার পরও সানির মুখে শোনা গেল রোহিতের সমালোচনা।