বিশ্বকাপ দাপট অౠব্যাহত রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। রবিবার টেবিল টপার নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারায় রোহিত শর্মার বাহিনী। একটি লড়াকু রান স্কোর বোর্ডে তুললেও শেষ পর্যন্ত তা তুলতে পারেনি কিউয়িরা। তবে ধরমশালার মাঠে আউটফিল্ড আবারও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের জন্য। চোট এড়াতে ক্রিকেটারদের স্লাইড করতে দেখা যাচ্ছিল না। রবিবার টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ডাইভ দিতে গিয়ে আঙুলে চোট পেতে দেখা যায়। যদিও তিনি কিছুক্ষণের জন্য ময়দান ছাড়লেও পরে আবার ফিরে আসেন খেলতে। আবার অন্যদিকে ৩৫তম ওভারে টিম ইন্ডিয়ার পেসার জসপ্রীত বুমরাহকে ডাইভ দিতে দেখা যায়নি।
যদিও আউটফিল্ডের এই অবস্থা সম্বন্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটജলারকে। তিনি বলেন, 'আইপিএলের সময় এই ময়দানের যা অবস্থা ছিল আর এখন যা অবস্থা, তা সম্পূর্ণ আলাদা। যা অবস্থা তাতে স্লাইড খাওয়া খুবই চাপের ব্যাপার।' একই অবস্থা দেখা যায় বাংলাদেশ বন﷽াম আফগানিস্তান ম্যাচে।
উল্লেখ্য, রবিবার নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারায় টিম ইন্ডিয়া। টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। দ্রুত ২টি উইকেট পড়লেও একটি বড়ো পার্টনারশিপ গড়েন রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারেল মিচেল। রাচিন রবীন্দ্র আউট হন ৮৭ বল খেলে ৭৫ রানে। এরপর♏ শীঘ্রই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান টম লাথাম। একটি দুর্দান্ত শতরান ⭕আসে ডারিল মিচেলের ব্যাট থেকে। তিনি ১২৭ বল খেলে ১৩০ রানে আউট হন। ৫০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ড সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ২৭৩। ভারতের বোলারদের মধ্যে ৫টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি। তিনি ১০ ওভার বল করে ৫৪ রান দিয়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া দুটি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ১টি করে উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাহ।
জবাবে রান তাড়া করতে নেবে শুরুটা ভালই হয় 'মেন ইন ব্লু'র। তবে🐎 ১৪ ওভারের মধ্যে দুটি উইকেট হারায় ভারত, রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের রূপে। এরপর কিং কোহলি শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে একটি পার্টনারশিপ গড়েন। আইয়ার আউট হন ২৯ বলে ৩৩ রান করে। কেএল রাহুলের সঙ্গেও একটি বড়ো পার্টনারশিপ গড়েন বিরাট কোহলি। তবে কেএল রাহুল আউট হওয়ার পর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান টিম ইন্ডিয়ার মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি সূর্যকুমার যাদব। এরপর অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে আরেকটি পার্টনারশিপ গড়ার পর আউট হন বিরাট। এদিন অল্প রানের জন্য শতরান থেকে বঞ্চিত হন। তিনি ১০৪ বল খেলে করেন ৯৫। তবে শেষ পর্যন্ত মহম্মদ শামিকে সাথে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ৪৪ বল খেলে করেন ৩৯। ম্যাচের সেরা হন মহম্মদ শামি।