শুভব্রত মুখার্জি: ওডিআই বিশ🐬্বকাপ শুরুর আগেই আগাম সুখবর পেয়েছিলেন কলকাতার ক্রিকেট ভক্তরা। একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ সহ মোট পাঁচটি ম্যাচের আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একটা উচ্ছ্বাস ছিল কলকাতাবাসীর মধ্যে। ইতিমধ্যেই ইডেনে দুটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। তবে বাংলার ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে সেই উচ্ছ্বাসে যেন কোথাও কাঁটা হয়ে থাকছে ম্যাচ টিকিট।
দুটি ম্যাচে গ্যালারির অর্ধেকের বেশি আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছে। এমনকি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল অর্থাৎ সিএবির সদস্য, সমর্থকদের বড় অংশও পাননি টিকিট। ফলে ম্যাচের আগে বিক্ষোভও হয়েছে ইডেন চত্বরে। এমনকি ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার আসন্ꦇন ম্যাচের আগে ১১ হাজার টাকায় টিকিটের কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক যুবকও। এমন আবহে ম্যাচ টিকিটের হাহাকার সহ টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কী জানিয়েছেন তিনি? আসুন একটু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক।
ইডেনে রবিবার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ রয়েছে। তার আগে ভরা বিশ্বকাপের মরশুমে টিকিটের কালোবাজারি রুখতে হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। রবিবারের ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি চলছে খুল্লামখুল্লা। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা ও শ♔হরতলি থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকিটের কালোবাজারি হচ্ছে একেবারে বেলাগামভাবে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়েও। বিষয়টি নিয়ে ময়দান থানায় অভিযোগꦇও দায়ের হয়েছে। ঘটনায় সিএবি ও অনলাইন টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থাকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। এমন আবহে🍎 মুখ খুলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রাক্তন বিসিসিআইয়ের সভাপতির বক্তব্য, 'সবাই কী করে টিকিট পাবে? আসন তো ৬৭ হাজার। মাঠ তো খেলার দিন ভর্তি থাকবে। তার বেশি টিকিট কীভাবে দেওয়া সম্ভব! বাইরে মানুষ টিকিট কিনে কী করছে, কে ধরবে? এটা তো আইসিসি, বিসিসি💮আই বা সিএবির এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে না। টিকিটের কালোবাজারি হলে, সেটা একমাত্র পুলিশই বন্ধ কর❀তে পারে।'
টিকিটের কালোবাজারি𝄹 নিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের উদাহরণও টানেন তিনি। সৌরভ বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের টিকিট ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছি। যে টিকিটের দাম ছিল ৩-৪ হাজার ডলার, সেই টিকিট ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এটাই চাহিদা। যার সুযোগ নেয় অসাধু কিছু ব্যক্তি। সিএবি কীভাবে কালোবাজারি করবে! সিএবির টিকিট তো ক্লাবগুলোকে দেওয়া হয়। চলতি বꦉিশ্বকাপে সিএবির বক্স অফিসই নেই। সিএবি কীভাবে টিকিট বিক্রি করবে?’
তবে অনলাইন টিকিট বিক্রিকারী সংস্থা সোল্ড আউট অর্থাৎ সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলার পরেও যেভাবে ইডেনে দুটি ম্যাচেই দর্শকাসন খালি থেকেছে, তাতে করে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে বারবার। তার মধ্যে প্রায় রোজ টিকি▨টের কালোবাজারির কারণে কোনও না কোনও ব্যক্তির গ্রেফতার হওয়া এই প্রশ্নকে আরও জোরদার করেছে তাতে সন্দেহ নেই।