তাজা পিচে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলা উচিত। এমনই দাবি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকা ড্যারেন লেম্যান এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। যদিও বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির এমন কোনও নিয়ম নেই যে তাজা পিচেই (আগে যে পিচে ওই টুর্নামেন্টের কোনও ম্যাচ হয়নি) নক-আউট পর্যায়ের ম্যাচের আয়োজন করতে হবে। শুধুমাত্র সেরা পিচে সেমিফাইনাল, ফাইনালের মতো ম্যাচ আয়োজনের নিয়ম আছে। আর সবথেকে বড় বিষয় হল যে এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে পুরনো পিচ ব্যবহার করা হচ্ছে না। 💧বরং꧅ গতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালই পুরনো পিচে হয়েছিল। একটি সেমিফাইনাল হয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালে। অপর সেমিফাইনালের আয়োজন করেছিল সিডনি।
বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে যে পিচ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ইতিমধ্যে গ্রুপ পর্যায়ের দুটি ম্যাচে ব্যবহার করা হয়েছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াংখেড়ের সাত নম্বর পিচে প্রথম সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। যে পিচটা একেবারে তাজা। গ্রুপ লিগের কোনও ম্যাচ সেই পিচে খেলা হয়নি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পরে পালটানো হয়। ছয় নম্বরে পিচে হচ্ছে প্রথম সেমিফাইনাল। যে পিচে গত ২১ অক্টোবর ইংল𒆙্যান্ডকে ২২৯ রানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ২ নভেম্বর শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত।
আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে হইচই। একটি মহলের তরফে দাবি করা হতে থা𒁃কে যেꦆ ভারতের সুবিধা করে দিতে নিয়মের তোয়াক্কা না করে পুরনো পিচে প্রথম সেমিফাইনাল হচ্ছে। তাজা পিচে খেলা হলে ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের মতো কিউয়ি পেসারদের জন্য পিচে সাহায্য থাকত। কিন্তু পুরনো পিচে তাঁরা অতটা কার্যকর হতে পারবেন না। যদিও পালটা একাংশের বক্তব্য, এটা অতীতের ভারতীয় দল নয় যে শুধুমাত্র স্পিন বিভাগ শক্তিশালী। নিউজিল্যান্ডের থেকে টিম ইন্ডিয়া পেস বিভাগ কোনও অংশে কম নয়।
সেই বিতর্কের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার লেম্যান বলেন, ‘আইসিসির প্রতিযোগিতায় অবশ্যই তাজা পিচ ব্যবহার করা উচিত। কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সেটাই হওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, গত বছর যখন তাঁর দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হয়েছিল, তখন দুটি ম্যাচই পুরনো পিচ ছিল। যদিও ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে একদিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দুটি পিচই ছিল নতুন। আর সেই দেশে𒉰র প্রাক্তন অধিনায়ক ভনও বলে✤ন, ‘বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অবশ্যই তাজা পিচে খেলা উচিত।’
আইসিসির নিয়ম কী বলছে?
লেম্যান এবং ভনরা সেই কাঁদুনি গাইলেও আইসিসির নিয়মে সেরকম কোনও বাধ্যবধকতা নেই। এবার বিশ্বকাপে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, যে কোনও ম্যাচের আগে পিচ বেছে নেওয়া এবং সেই পিচ প্রস্তুতির দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্তৃপক্ষের উপর। এক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব ছিল মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উপর। স্থা🌳নীয় মাঠকর্মীদের সঙ্গে দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন স্বাধীন পিচ উপদেষ্টা অ্যান্ড অ্যাটকিনসন।
তবে নক-আউট ম্যাচের জন্য কোন পিচ ব্যবহার করা হবে, সেটা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। আইসিসির পিচ এবং আউটফিল্ড🎐 মনিটরিং প্রক্রিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, ‘এটা আশা করা হয়, যে মাঠের হাতেဣ ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্বে থাকবে, সেই মাঠই সম্ভাব্য সেরা পিচ এবং আউটফিল্ড বেছে নেবে।’