আইপিএলে রাজস্থান দল বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি ম্যাচে হেরেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। লিগ টেবিলে রয়েছে দু নম্বরে। এত ভালো পারফরমেন্সের অন্যতম কারণ হচ্ছে টপ অর্ডারের দুরন্ত ফর্মের মধ্যে থাকা। জস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ এবং অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন দলের প্রয়োজনে পারফর্ম করে দিচ্ছেনꦿ। বোলাররাও অবশ্যই যোগ্য সংগত দিচ্ছেন, কিন্তু আইপিএল এবার যেন ব্যাটারদেরই খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেখানেই শুরুর দিকে ছন্দ পাচ্ছিলেন না ভারতীয় দলের ক্রিকেটার তথা রয়্💦যালসদের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে অনেকটাই মেলে ধরেছেন এই ক্রিকেটার। এবারের আইপিএলে করে ফেলেছেন একটি শতরান। ১১ ম্যাচে করেছেন ৩২০ রান। স্ট্রাইক রেট ১৫৮-র কাছাকাছি। ফলে বলাই যায়, বিশ্বকাপের আগে ঠিক সময়ই নিজের ফর্ম ফিরে পেয়েছেন যশস্বী। এরই মধ্যে তাঁকে নিয়ে মজার তথ্য ফাঁস করলেন ছোটবেলার কোচ। বলছেন, স্কুলে যাওয়ার নাম শুনলেই নাকি মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যেত তাঁর।
আরও পড়ুন-IPL 2024- সঞ্জুর আউটের পরই উচ্ছাস, বিতর্ক ধামাচাপা🌱 দিতে হাত মেলালেন ক্যাপিটালসের মালিক- ভিডিয়ো
যশস্বীর ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে প্রচুর অবদান রয়েছে তাঁর ছ🔯োটবেলার কোচ জোয়ালা সিংয়ের। মাত্র ১৩ বছর বয়সের ছোট্ট যশস্বীকে নিজের সঙ্গে রেখে দিয়েছিলেন জোয়ালা। তাঁর খেলা দেখে মনে হয়েছিল, একদিন অনেক বড় হবে যশস্বী। প্রায় ১ দশক তাঁর সঙ্গেই থাকত ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার। জন্মদাতা না হয়েও বাবার মতোই তাঁকে আগলে রেখেছেন সব সময়। কোনও কিছুর যাতে অভাব নয়, কোনও প্রতিকূলতা যাতে তাঁর ক্রিকেট খেলায় অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায় সেই চেষ্টাই করেছেন যশস্বীর ছোটবেলার কোচ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ছোটবেলার মজার গল্পই জানালেন কোচ।
আরও পড়ুন-Paris Olympics- 4x400 মিটার দৌড়ে অলিম্পিক্সের টিকিট হাতে🍎 পেল ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা অ্যাথলিটরা
অনেকেই ভাবেন সত্যি হয়ত ফুচকা বিক্রি করতে হত যশস্বীকে নিজের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। যদিও তাঁর ছোটবেলার কোচ বলেছেন, সেসব কখনই তাঁকে করতে হয়নি। কিন্তু স্কুলে নাকি যেতে একদম পছন্দ করতেন না উত্তর প্রদেশের এই ছেলে। জোয়ালা সিং বলেন,' ওকে আমি নিজের🅺 ছেলের মতোই দেখতাম, তাই কখনই ওকে আমার কাছে আসার পর কষ্ট পেতে দিইনি। ওর বাবা-মাও চেষ্টা করত কিন্তু পারেনি, ইশ্বরের কৃপায় আমার সামর্থ্য ছিল তাই ওকে আমার কাছে রেখেছিলাম। ভগবানই আমায় সেই সামর্থ্য দিয়েছিল বাচ্চা👍টাকে জীবনে বড় করার জন্য। অনেকে তো জানেই না, আমি ওকে স্কুলেও ভর্তি করেছিলাম, কিন্তু স্কুলে যাওয়ার কথা বললেই বলে ওর নাকি মাথা ব্যথা হত ওখানে গেলে। এরপর আমি ইংরেজি ক্লাসে ভর্তি করে দিয়েছিলাম, যাতে ভবিষ্যৎ-এ কেউ সাক্ষাৎকার নিতে আসলে কথা বলতে পারে'।
আরও পড়ুন-১১ বছরের অপেক্ষার অবসান, PSG-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইন𒐪ালে ডর্টমুন্ড
যশস্বীর কোচ আরও বলেন, ‘ আমি শুধু খুশি না, আমি ওর জন্য গর্বিত। আমি যখন ওকে আমার বাড়িতে এনেছিলাম, তখন ভাবিনি যে ও বড় হয়ে কি করবে। আমি ঝুঁঁকি নিয়েছিলাম সেই সময়, আমি এখন তৃপ্ত যে ও ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলে। এর থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না, যে আমি এমন একজনকে তুলে এনেছিলাম যﷺে সঠিক পরিচর্যা পাচ্ছিল না’। উল্লেখ্য আগামী টি২০ বিশ্বকাপে বড় মঞ্চে খেলতে চলেছেন যশস্বী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, আইপিএলে সাফল্য পাওয়ার পর সেই ধারা টি২০ বিশ্বকাপেরও তাঁর ব্যাট থেকে দেখতে মুখিয়ে রয়েছে সকলে।