মহারাষ্ট্রের বারামতী। একটা সময় এই বিধানসভা কেন্দ্র অবিভক্ত ন্য়াশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) গড় বলে বিবেচিত হত। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই ক𝓀েন্দ্রই সাক্ষী হতে চলেছে এক অনন্য লড়াইয়ের।
পাওয়ার বনাম পাওয়ারের এই লড়াই কেবলমাত্র❀ღ বিভক্ত হয়ে যাওয়া একটি রাজনৈতিক দলের নয়, একইসঙ্গে একই পরিবারের দুই সদস্যের মধ্য়েকার লড়াই হিসাবে সকলের নজর কাড়তে চলেছে। এমনটাই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
এই কেন্দ্রে রাজ্য়ের বর্তমান সরকার পক্ষ, অরꦺ্থাৎ - মহাযুতি জোটের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন অজিতপন্থী এনসিপি-র প্রধান অজিত পাওয়ার স্বয়ং। সম্পর্কে যিনি শরদ পাওয়ারের ভাইপো।
এই শরদ পাওয়ার ও তাঁর অনুগামীরা আবার রয়েছেন বিপক্ষের মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোটে। বারামতী কেন্দ্রে এমভিএ-র তরফে প্রার্থী হচ্ছেন শরদপন্থী এনসিপি-র তরুণ নেতা যুগেন্দ্র পাওয়ার। যিনি শরদ যাদবের অপর ভাইপো, অর্থাৎ - অজিত পাওয়ারের ভাই শ্রীন꧑িবাস পাওয়ারের ছেলে।
অর্থাৎ, একদিক✅ দিয়ে যুগেন্দ্র হলেন শরদ♛ পাওয়ারের নাতি। আবার তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী অজিত পাওয়ারের ভাইপো।
উল্লেখ্য, এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে যুগেন্দ্রকে দেখা গিয়েছিল, তাঁর পিসি অর্থাৎ- সুপ্রিয়া সুলের হয়ে প্রচারে ঝাঁপাতে। এছাড়া, গত সেপ𓆏্টেম্বর মাসে দলের তরফে বারামতী থেকে যে স্বভিমান যাত্রা করা হয়েছিল, তারও নꦏেতৃত্বে ছিলেন যুগেন্দ্র।
এ♒ই প্রেক্ষাপটে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী মনে করছে, এই নির্বাচন তাদের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার সেরা উপায়। কার๊ণ, এর আগে লোকসভার নির্বাচনে তাদের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছিল।
কারণ, লোকসভা নির্বাচনে চারটি আসনে ♎লড়লেও একটির বেশি আসনে জিততে পারেনি অজিত গোষ্ঠী। উপরন্তু, সুপ্রিয়া সুলের কাছে হারতে হয়েছিল অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ার🤪কে।
যার জন্য পরে অজিত পাওয়ারকে বলতে হয়েছিল, বোনের বিরুদ্ধে বউকে ভোটে দাঁড় করানো মোটেও উচিত হয়নি তাঁর। এমনকী,☂ পরিবারের মধ্য়ে এভাবে রাজনীতি ঢুকে যাওয়ায় আক্ষেপও করতে🐎 দেখা গিয়েছিল অজিত পাওয়ারকে।
অথচ, সেই ঘটনার পর কয়েক মাস কাটতে ন📖া কাটতেই ভাইপোর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে🤡 চলেছেন অজিত পাওয়ার।
সূত্রের খবর, বস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির 🦄প্রাক্তনী যুগেন্দ্র বহু দিন ধরেই তাঁর এই রাজনৈতিক আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শরদ পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রেই একথা জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ১৯৯১ সাল থেকে এই বারামতী 🎶কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অজিত পাওয়ার। তখনও এনসিপি গঠিত হয়নি। সেই সময় তিনি ও তাঁর কাক♓া শরদ পাওয়ার কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন।
মাঝখানে শোনা যাচ্ছিল, অজিত পাওয়ার আর নির্বাচনে লড়তে চান না। বদলে বারামতী কেন্দ্রে তাঁর ছেলে জয় পাওয়ারকে দাঁড় করাতে চা🐓ন। কিন্তু, শে🐈ষমেশ 'দলের সিদ্ধান্তে' সেই তিনিই বারামতীতে প্রার্থী হলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অজিতের বড় ছে💦ল𝐆ে পার্থ পাওয়ার মাভল আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু, বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।