আজ, শনিবার বিধাননগর পুরসভার নির্বাচন শুরু হতেই অশান্তির খবর মেলে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী এক ব্যক্তিকে তাড়া করেন। তাঁর অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ভুয়ো ভোটার। তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত ভুয়ো ভোটার নিয়ে জমায়েত করে ভোট লুঠ করতে চাইছে। এই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। যিনি বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন এবং এই এলাকাটি হাতের তালুর মতো চেনেন। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দেবাশিস জানা।এদিন সকালে বিধাননগর পুরসভার ভোট শুরু হতেই ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম–এর সঙ্গে যুক্ত আরও একটি যন্ত্র বদলের অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী। ভোটগ্রহণ বন্ধ করার দাবি তোলেন তিনি। এমনকী ভোট বন্ধ করে দিতে হয়। এখন আবার শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। ভুয়ো ভোটার নিয়ে হাওয়া গরম হয়ে ওঠে। আবার বিধাননগর পুরসভার আটঘড়া স্কুলের বুথে সিপিআইএম ও নির্দল প্রার্থীর মধ্যে তর্কাতর্কি বেধে যায়। এখানে সিপিআইএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তোলেন নির্দল প্রার্থী। সিপিআইএম প্রার্থী ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটগ্রহণে দেরি করছেন বলে তাঁর অভিযোগ। কেষ্টপুরে সিপিআইএম প্রার্থী অলোক রায়কে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ফলে অশান্তি চরমে।উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরসভার মোট ৪১টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তি রুখতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সল্টলেক তথা বিধাননগরকে। বিশেষ দায়িত্বে আনা হয়েছে পুলিশকর্তা জ্ঞানবন্ত সিংকে। ২০১৫ সালে ৪১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৭টি আসন বাকি পায় বাম–কংগ্রেস। এবার কী হয় সেটাই দেখার।