এখন তিনি বিদ্রোহী। তাই দল তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। কিন্তু বিধাননগর এলাকায় তিনি থা🧔কেন। তাই আজ, শনিবার পুরসভার নির্বাচনে পরিবার নিয়ে ভোট দিতে বেরিয়ে পড়লেন। আর পথে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্র💧ার্থীর। তিনি এলাকায় কেমন ভোট হচ্ছে দেখছিলেন। মুখোমুখি দেখা হতেই পরস্পরের এক গাল হাসি। আর একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন। সকাল থেকে যেখানে নানা অভিযোগ উঠছিল সেখানে দেখা গেল রাজনৈতিক সৌজন্য।
ঠিক কী ঘটেছে বিধাননগরে? এদিন দুপুরে বিধাননগর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যা𝔍লয়ে ভোট দিতে আসেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। ভোট দিয়ে বেরোনোর পর তৃণমুল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্𒐪তের সঙ্গে দেখা হয়। আলাপচারিতার পর কোলাকুলি করতে দেখা গেল দু’জনকে। তারপর বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। ভোট দেওয়ার পর বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা ও তৃণমুল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের কোলাকুলির ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
বিধাননগরের𝓡 ভোট নিয়ে কী বলেছেন জয়প্রকাশ? এদিন ভোট দিয়ে বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, এখানে ছাপ্পা–সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। কী বলবেন? উত্তরে জয়প্রকাশবাবু বলেন, ‘আমি যখন ভোট দিলাম তখন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। যিনি বা যাঁরা এইসব অভিযোগ তুলছেন নিশ্চয়ই তাঁদের কাছে তার তথ্য আছে। তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন। তবে গণতন্ত্রের এই উৎসবে বলতে পারি, পথ বাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব হাসে অন্তর্যামি। এই এলাকার ভোটার হিসাবে বলতে পারি দেবাশিসবাবুকে প্রচারে দেখা যায়নি।’
উল্লেখ্য, বিজেপির অন্দরে এখন বিদ্রোহী জয়প্রকাশ মজুমদার। আর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন সব্যসাচী দত্ত। তাই এই কোলাকুলি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ভোটের ময়দানে। এখানে সকাল থেকে ভুয়ো ভোটার থেকℱে ছাপ্পা অনেক অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বেলাশেষে এই দুই নেতার কোলাকুলি চেটেপুটে খাচ্ছে নেটপাড়া।