পুরসভা নির্বাচনের দিন তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠ করছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু এবার দেখা গেল বিপরীত ঘটনা। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তুলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর দলের প্রার্থী মাসুদা খাতুন। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ।এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী মজা করে বলেন, ‘সবই তো তৃণমূল। তার বিরুদ্ধে কে বলবে? আসলে সাজানো গোছানো কিছু কথা বলতে হয়, তাই বলা।’ আর মাসুদা খাতুনের অভিযোগ, ‘কংগ্রেসিরা বুথ দখল করে ‘ছাপ্পা’ ভোট দিয়েছে।’ এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর চোখে জল ভাবা যাচ্ছে না। ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী? এই বিষয়ে মাসুদার অভিযোগ, ‘দুপুরবেলা কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৮১ ও ৮২ নম্বর বুথে ঢুকতে গেলে, কংগ্রেসের ছেলেরা আমাকে পুলিশের সামনে বাধা দেন। মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। অসহায় অবস্থায়, নিঃসঙ্গ হয়ে বুথের বাইরে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম।’এটা কী তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দল কাঁটার ফল? যদিও মাসুদা এই নিয়ে বলেন, ‘না। কংগ্রেসিরা আমাকে হারাতে উঠে পড়ে লেগেছে। পুরো ঘটনা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’ এই ঘটনায় সবাই চমকে গিয়েছেন। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এখন ক্ষমতায়। আর সেই দলের প্রার্থীকে বাধা দেওয়া, বুথে ঢুকতে না দেওয়া এবং তার জেরে চোখে জল—ভাবিয়ে তুলেছে সকলকেই।