প্রিসাইডিং অফিসারের ভুলে বাতিল হয়েছে ব্যালট বাক্সে থাকা সমস্ত ব্যালট। শেষ পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালটে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের এই ঘটনায় পুনর্নির্বাচন দাবি করেছে শাসক বিরোধী দুই পক্ষই। তবে এবিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক।পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ও সিল না থাকলে ব্যালট বাতিল বলে গন্য হবে। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/৬৮ নম্বর বুথের ব্যালটবাক্স খুলে দেখা যায় সেখানে কোনও ব্যালট বৈধ নয়। কোনওটায় নেই প্রিসাইডিং অফিসারের সই তো কোনওটায় সিল। যদিও ওই বুথের ১,৩২৯ জন ভোটারের মধ্যে ১,০৪৯ জন ভোট দিয়েছিলেন। কমিশনের বিধি অনুসারে সমস্ত ব্যালট বাতিল করা হয়। তার আগে পোস্টাল ব্যালট গণনায় ওই বুথের ১০টি ভোটের মধ্যে ৫টি পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, ৪টি সিপিএম ও ১টি বিজেপি প্রার্থী। ফলে পোস্টাল ব্যালট গণনায় ১ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী জয়নাল চৌধুরী।তিনি বলেন, ‘এর পিছনে কো অর্ডিনেশন কমিটির হাত আছে। তারাই চক্রান্ত করে সমস্ত ভোট বাতিল করেছে। পোস্টাল ব্যালটে আমি ১ ভোটে জয়ী হয়েছি। কমিশন আমাকে জয়ী ঘোষণা করেছে। তবে এভাবে আমি জিততে চাইনি।’বিজেপি প্রার্থী রাজীব সরকার বলেন, ‘পোস্টাল ব্যালটের খামগুলি যখন আমাদের সামনে আনা হয় তখনই সেগুলি খোলা ছিল। আমাকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে। আমি কমিশন ও রাজ্যপালের কাছে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানিয়েছি।’