ছাপ্পা দিয়ে পালানোর সময় এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই দুষ্কৃতীকে গাড়িতে তুলে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেন পুলিশ আধিকারিক। এর পরই গণরোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের ওপরে। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হন ১ পুলিশকর্মী। অন্যজন বুথ লাগোয়া একটি বাড়ির খাটের নীচে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান। ঘটনা গত শনিবার নদিয়ার গাংনাপুর থানা এলাকায় একটি বু🔯থের। ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই বুথে স্মরণাতীত কালে ভোট ঘিরে কোনও অশান্তি হয়নি। শনিবারও সকা꧃ল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। বেলা ১১টার কিছু পরে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথ দখল করে। তাদের দেখে বুথ ছেড়ে পালান পুলিশকর্মী ও ভোটকর্মীরা। এর পর আঘ ঘণ্টা ধরে অবাধে ছাপ্পা দেয় দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময় এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাঁকে গাংনাপুর থানার পুলিশ আধিকারিকের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীকে গাড়িতে তুলে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেন ওই পুলিশ আধিকারিক। এর পর বুথে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়ে। ২ পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে তাড়া করে জনতা। কয়েকশ’ মিটার দৌড়ানোর পর মাটিতে পড়ে যান পুলিশ🐬কর্মী রাজু দাস। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে জনতা। গণপিটুনিতে তাঁর মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাঁকে পেটায় জনতা। অন্য পুলিশকর্মী তখন স্থানীয় একটি বাড়িতে ঢুকে প্রাণ বাঁচান। পুুলিশকর্মীকে মারধরের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনার পর এলা𓆏কায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করে তারা। আহত রাজুবাবু কলকাতা পুলিশের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।