কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ꩲতাই বাংলায় পা রেখেই টহল দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিমাণ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত🌸্রক আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠিয়েছে। বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিমাইন্ডার লেটার বা চিঠি দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি লিখেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েই এই ‘রিমাইন্ডার লেটার’ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পেয়ে তা কেমন করে মোতায়েন করা হবে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে গেলে এই সংখ্যায় তা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত ন꧅িতে পারা যাচ্ছে না। বাকি ৪৮৫ কোম্পানির সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অবস্থান জানতে পারলেই পুরো পরিকল্পনা করা সম্ভব বলে মনে করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা। তাই এই রিমাইন্ডার লেটার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে লেখা হয়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। আগেও একটা চিঠি লেখা হয়েছিল। যার উত্তর মেলেনি।
অন্যদিকে আজ, রবিবার আবার চিঠি লেখা হওয়ায় চাপ বাড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপর বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো–অর্ডিনেটর এবং অফিসাররা এসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হཧয়। কিন্তু তারপরও আর বাহিনী এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। আর বাহিনী মোতায়েনের সুবিধার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কবে কোথায় বাহিনী পাঠাতে হবে? আর সেটা লিখিতভাবে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বেজে উঠল ’জিতব 🎉আমি, জিতবে তুমি’, খোঁচা কুণালের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই লিখিতভাবে জানাতে গেলে যে পরিকল্পনা করা দরকার সেটা সম্পূর্ণ আবেদন করা বাহিনী নিয়ে। সেখানে আবেদন করা হলেও সম্পূর্ণ বাহিনী আসেনি। তাই পরিকল্পনা করে মোতায়েনের বিষয়টি জানানো যাচ্ছে না। এই আবহে আজ, রবিবা💖র রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিমাইন্ডার লেটার দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসার বিষয়ে বিলম্ব হচ্ছে দেখে এই চিঠি লিখতে হয়েছে। আর যেটুকু বাহিনী এসেছে তাদের দিয়ে এখন রুটমার্চ করা হচ্ছে জেলায়।