পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়েনি। কলকাতা হাইকোর্টও এই নিয়ে কোনও রায় বা নির্দেশ দেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সুতরাং আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার প্রথম দিন সবথেকে বেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল বিজেপি। তারপর জায়গায় করেছিল সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেস ৯ জুন জমা দেয় মাত্র ১৯৬টি মনোনয়নপত্র। তাই বিরোধীরা মনে করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা টেক্কা দিয়েছেন শাসকদলকে। কিন্তু ১৫ জুন পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে মনোনয়নপত্র। সেখানে দেখা গেল ১৪ জুন, একদিনেই বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা🐽 দিয়ে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং সবাইকে পিছনে ফেলল ঘাসফুল শিবির।
আজ, বৃহস্পতিবার গোটা দিন তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে আছে। সুতরাং যেটুকু বাকি আছে সেগুলি জমা দিয়ে চ্যাপ্টার ক্লোজ করবে তাঁরা। এমন ওভারটেক করবে তৃণমূল কংগ্রেস সেটা বিরোধীরা ভাবতেও পারেনি। আসলে জেলায় জেলায় সংগঠন মজবুত রয়েছে বলেই এটা করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন♑ অনেকে। তাছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সারা রাজ্যে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিল তাতে ভালই ফল মিলেছে। অর্থাৎ প্রার্থী তালিকা সেখান থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা পড়ল। তাতে অনেকে বাদ পড়েছেন, আবার অনেকে নতুন মুখ সুযোগ পেয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫৫টি। তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৫টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ২২ হাজার ৬৪৮টি এবং জেলা পরিষদে ২ হাজার ৯৮২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। বিজেপির মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ৪৩ হাজার ৩০৮টি। বামেদের ৩৮ হাজার ৩৯ মনোনয়ন জমা করেছে। আর একদিনেই তৃণমূল কং▨গ্রেসের মনোনয়ন সংখ্যা ৪৯ হাজার ৪৯১। বুধবারই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪০ হাজার ১৬৩ মনোনয়ন জমা পড়েছে। বাকি যেটুকু আছে সেটা আজ হয়ে যাবে। সুতরাং পরে শুরু করেও এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ তাহলে কী হবে? মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার নানা জায়গায় অশান্তি হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ের অশান্তি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভাঙড় থেকে মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএসএফ এবং সিপ🗹িএম। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেননি, আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসে শেষ দিনেই সব দলকে টপকে যাবে।’