পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হিংসার অভিযোগ জানতে এবং🎃 তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্প্রতি পিস রুম খুলেছেন। সেটি একটি হেল্পলাইন নম্বর। যেখানে গ্রামবাংলার মানুষজন হিংসার খবর, আক্রান্ত হওয়ার খবর পৌঁছে দিতে পারবেন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। কিন্তু মানুষ বিপদে পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। এবার বিপদে পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার নম্বর নিয়ে আসা হচ্ছে।
এবার নতুন ধাঁচে ভাবা হয়েছে। সেটা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের নম্ꦬবর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিডিও, এসডিও অফিসে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই নম্বরে কেউ যদি ভোট দিতে না পেরে বা বাধা পেয়ে ফোন করে তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সংশ্লিষ্ট লোকেশনে পৌঁছে তাঁকে সাহায্য করবে। এই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২২ কোম্পানির কমান্ড অফিসারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিশেষ করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলছেন বিরোধী দলনেতা? কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে সেটার দায় বাহিনীর উপরেই বর্তাবে। তাই ফোন করলেই অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন তাঁরা। ২২ কোম্পানিরဣ কমান✃্ড অফিসারদের নাম–ফোন নম্বর প্রকাশ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ সবাই যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রার্থী থেকে ভোটার—সবাই যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ꦬ‘সাধারণ মানুষ থেকে প্রার্থী আক্রান্ত হলেই বা বাধা পেলেই অভিযোগ জানাতে পারবেন। আদালতের নির্দেশ কোনওভাবে লঙ্ঘন হলে আমি আবার আদালতে গিয়ে হাজির হবো।’
আর কী জানা যাচ্ছে? কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি শুরু থেকে করা হচ্ছিল। এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালত অবমাননা করেছে বলে নতুন করে মামলা করা হয়েছে। যার জন্য আজ, শুক্🌌রবার কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ২৮ জুন তথ্য তলব করেছে কমিশনের কাছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর এবং অধীর চৌধুরীর করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশেই ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই বাহিনীর সঙ্গেই এবার যোগাযোগ করা যাবে।