৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ওই সময় বর্ষার বৃষ্টি হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়🍃। আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। ভরা বর্ষায় একাধিক সমস্যা সামলে কী ভাবে নির্বাচন করা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় কমিশন।
(পড়তে পারেন। পঞ্চায়েত ভোটে নিচু পদে ডিউটি দেওয়া হয়েছে, অভিযোগে হ✅াইকোর্টে ৭ অধ্যাপক)
জল জমার সমস্যা
বৃষ্টিতে যদি বুথের আশপাꦺশে এলাকায় জল জমে যায় তবে ভোটাররা ভোট দিতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়বেন। কী ভাবে তার ভোট কেন্দ্র পৌঁছে নিজের ভোট দেবেন তা ভাবাচ্ছে কমিশনকে। আবহাওয়া দফতরের পর্বাভাস বলছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ৪ জুলাই থেকে বৃষ𝕴্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময় থেকে যদি নাগাড়ে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয় তবে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছনো দায় হয়ে পড়বে ভোটারদের।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সব ভাবতে গিয়ে খরচ লাগাম ছাড়া করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার জন্য নির্দিষ্ট বাজেট মেনেই খরচ করত꧑ে হবে। ভোটকর্মীদের ছাতা বা রেনকোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের উপরই ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচ🙈ন কমিশন।
প্রসঙ্গত, জেলায় বুথের সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই বাজেট বরাদ্দ স্থির করে নির্বা꧙চন কমিশন। কোনও জেলায় যদি কম বুথ থাকে তবে বরাদ্দ কম। আবার ♕যদি বুথ যদি বেশি থাকে তো বরাদ্দ বেশি। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বুথ রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তা সেখানে বরাদ্দ বেশি। অন্য দিকে কালিম্পংয়ে বুথের সংখ্যা কম, তাই বরাদ্দও কম।
আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে সংযোগ রেখে কাজ
ভোটের কয়েকদিন আগে থেকে আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে সংযোগ রেখে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। নিয়মিত হাওয়া অফিসের থেকে আপডেট নিয়ে তা জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেব♕ে নির্বাচন কমিশন। কোন এলাকার আবহওয়া কেমন থাকবে, ไবৃষ্টি হবে কি না হলে কী পরিমাণ হতে পারে , এর সমস্ত আপডেট জেলা জেলায় পৌঁছে দেবে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন।
সিসি ক্যামেরা
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিটি বুথে সিসি ক𓂃্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। যেখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর সুযোগ থাকবে না সেখানে ভিডিয়োগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে কতগুলি সিসি ক্যামেরা কার্যকরী থাকবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কমিশ🐲ন।
কমিশনের হিসাব অনুযায়ী 🍎রাজ্যে এবার পঞ্চায়েত বুথের মোট সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬টি। ভাড়ায় এনে বুথে বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকে ক্যামেরা ভাড়ায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল ক্যামেরা লাগালেই তো হবে না, তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। গ্রামে ঝড় বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া। নির্বাচনের দিন যদি তেমনটা হয় তবে সিসি ক্যামেরা লাগানোই অর্থহীন হয়ে যাবে। এর সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির কা𓄧রণে খুঁটি পড়ে যাওয়া, বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছেই।
ব্যালট বক্স
ইভিএমে নয়, গত বছরের মতো এবছর পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে ব্যালট বক্সে। তাই বৃষ্টির সময় কাগজের ব্যালট বক্স সংরক্ষণ একটা সমস্যারও বটে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ পলিথিনের প্যাকেটে করে ব্যালট বক্সগুলি ভোট কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে বুথে যদি জল প✤ড়ার সমস্যা থাকে তবে ব্যালট নিয়ে চিন্তা থাকছে।
তবে সমস্যা যাౠই থাকুক না কেন, নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে ভোট শেষ করবে কমিশন। 🔯সেক্ষেত্রে জেলাপ্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বর্ষার প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে নির্বাচন করাতে চাইছে কমিশন।