পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা যখন বল্গাহীন সন্ত্রাসের 🔴অভিযোগ করছেন তখন দুটি বিষয় সামনে এসেছে। এক, খুন বেশি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রে൩স কর্মীরা। দুই, জঙ্গলমহল ও পাহাড়ে ভোট হয়েছে অবাধ, শান্তিপূর্ণ। একটি অভিযোগও সেখান থেকে আসেনি। বরং উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে বলেই দাবি সাধারণ মানুষের। এই দুই জায়গায় ভোট লুঠ, বুথ দখল, ব্যালট লুঠ, বোমা–গুলির আস্ফালন থেকে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ কিছুই দেখা যায়নি। অথচ এখানেই আগে ভোট মানে রক্তাক্ত জঙ্গলমহল দেখত গোটা বাংলা। অশান্তির আগুনে গলতো পাহাড়ও। আজ তা অতীত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করে এসেছেন, পাহাড় ও জঙ্গলমহল হাসছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন যেন তাতে সিলমোহর দিল। কারণ বিরোধীরাও এখান থেকে কোনও অভিযোগ তুলতে পারেনি। অথচ কিছুদিন আগে কুড়মি আন্দোলনে প্রভাব পড়েছিল জঙ্গলমহলে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাহলে কি সেগুলি সাজানো ব্যাপার ছিল? উঠছে প্রশ্ন। জঙ্গলমহলে এদিন গুলি, বোমা, ল্যান্𝕴ডমাইন কিছু না মেলায় কোনও নাশকতা, হিংসা, বুথ দখল এবং ছাপ্পার ঘটনা ঘটেনি। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম থেকে দক্ষিণ বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তর গ্রামের মানুষ এখন বলছেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ’।
এদিকে মহিলাদের ভিড় দেখা গেল পুরুলিয়ার চাকলতোড়, বাঘমুন্ডি, বান্দোয়ান–সহ জঙ্গলমহলের নানা এলাকায়। বেলপাহাড়ি, লালগড়, জামবনিতে দেখা গেল উৎসবের মেজাজে ভোট। একদা বামফ্রন্ট জমানা🐓য় এই এলাকাগুলিই ছিল উপদ্রুত। আজ সেখানে হিংসা অতীত। মাওবাদী পোস্টারও পড়েছিল কিছুদিন আগে। তারপরও এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হল। অন্যদিকে পাহাড়েও হাসি দেখা গেল। দু’দশক পর পাহাড়ের পঞ্চায়꧃েত নির্বাচনে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বোমা–গুলি–অগ্নিসংযোগে তপ্ত বাতাবরণ দেখা যায়নি। বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তারপর আড্ডায় মেতে ওঠেন। একে অন্যের বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত করেন। সুকনা, মিরিক, কার্শিয়াং, দার্জিলিং, কালিম্পং সর্বত্র একচিত্র। বরং কিছু জায়গায় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ভোট দিলেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি লাগল ভোটারের ไশরীরে, অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চাকুলিয়ায়
ঠি🥃ক কে, কি বলছেন? ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে হারাতে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং, হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডকে নিয়ে জোট করেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন নয়াদিল্লি চলে যান রাজু বিস্তা। বাবার চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদ চলে যান অজয় এডওয়ার্ড। একা বিমল গুরুং চুপচাপই রইলেন। পাতলেবাসে নিজের ভোটদান করে সিংমারি চলে যান। অনীত থাপা কার্শিয়াং থেকে নড়লেন না। আর কেউ কোনও প্🤡রতিক্রিয়া দিলেন না। তবে জঙ্গলমহল যে ভোট এবার দেখল তা নিয়ে রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘সমগ্র জঙ্গলমহলে উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বুথে গিয়ে ভোটদান করেছেন।’