ভোট প্রায় শেষ। রক্তস্নাত বাংলা। বোমা গুলির লড়াই শেষে বিশ্রামে হার্মাদ বাহিনী। ঘরে ঘরে কান্নার রোল। প্রিয়জনকে কেড়ে নিল ভোট হিংসা। আর কোনও দিন ফিরবে না বাবা। কাঁদছে শিশু। আর তারপরই শুরু হয়ে গেল সেই চিঠি-চিঠি খেলা। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠালেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কী লিখলেন তিনি?'বাংলায় গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অবাধ নির্বাচন অনেক দূরে। গোটা বাংলা দেখল অভাবনীয় সন্ত্রাস। সুরক্ষা বাহিনী নীরব দর্শক।সমস্ত জেলাতেই কম বেশি সন্ত্রাস হয়েছে। তবে সবথেকে বেশি সন্ত্রাস হয়েছে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও পূর্ব বর্ধমানে। শুধু ভোটের দিনই ১৫জন রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। বুথ ক্যাপচার, রিগিং, ভুয়ো ভোট জেলায় জেলায় হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের জীবন বিপন্ন, মারধর, লুঠপাট হয়েছে। ভোটের পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। একাধিক বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। একাধিক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মাত্র কিছু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। বাকি বুথে রাজ্য পুলিশ ছিল। সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিল। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা হয়েছে। সিএপিএফ মোতায়েন নিয়ে কোনও ব্যাখা দেয়নি কমিশন। ব্যালট বাক্স ছুঁড়ে ফেলার একাধিক ঘটনা হয়েছে। বুথের ভেতরে ও বাইরে একাধিক হিংসার ঘটনা। এরপরই তিনি লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করছি কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করুক পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র দ্রুত ফেরাতে এটা করা হোক।’ লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। কিন্তু এর আগেও বিধানসভা ভোটের আগে এভাবেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইত বঙ্গ বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসার পরেও নানা কথা উঠত। তারপরেও কি হিংসা এতটুকু কমেছে?এই নির্বাচন তামাশা। এই নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার। সারা পৃথিবীর কাছে বাংলার ছবিকে কলুষিত করে গেল। বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মাত্র ৪৩টি বুথে হিংসা। কোথায় ৪৩টি বুথে আর কোথায় ৬১ হাজার বুথ।আগে তো ভোটই হত না।তবে এদিন বঙ্গবাসীর প্রশ্ন এই যে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে এত টালবাহানা, সেই বাহিনী কোথায় গেল এদিন?