পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এবার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চক্❀রান্তের তত্ত্ব সামনে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ, শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ মিলিতভাবে সন্ত্রাস করেছে বলে অভিযোগ তুললেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। আর প্রাণঘাতী হ🎶ামলা চালিয়েছে বিরোধীরা বলে অভিযোগ করলেন ব্রাত্য–কুণাল।
এদিকে এখনও পর্যন্ত ১৪টি খুনের খবর এসেছে। তার মধ্যে ৯ জনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং প্রার্থী রয়েছে বলে দাবি শা🔴সকদলের। এই ঘটনা নিয়ে ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘দিনহাটা থেকে মালদা এবং রানিনগর থেকে রেজিনগর যাঁরা খুন হলেন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় জানুন। কারা গুলি চালাল? কারা বোমা মারল? ব্যালট বাক্স কারা পুকুরে ফেলল? এগুলি জানলে দেখতে পাবেন পরিকল্পনা করে বিজেপি এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে। কারণ সেই তথ্য ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। বিরোধীরা একসঙ্গে হয়েই এই হামলা করেছে। আবার তারপর নিজেরাই অভিযোগ করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। সেখানে রাজ্যপাল এদের অভিভাবক হয়ে ইন্ধন দিয়েছেন।’
ঠিক কী বলেছেন শশী পাঁজা? এই হিংসা ও হামলার ঘটনার প্রমাণ তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বিএসএফ নির্বাচনে প্রভাব খাটাচ্ছে সেটা দেখা গিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দলকে ভোট দিতে বিএসএফের জওয়ানরা মানুষকে প্ররোচনা দিচ্ছেন। সরাসরি বিজেপি ভোট দিতে বলছেন সেই ভিডিয়ো সংবাদ💞মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। আর ব্যালট বাক্স কেড়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা তো আগেই বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। আর বিজেপি কর্মীরা সেটাই করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো তাঁরাই চেয়েছিলেন। তারপরও এমন হিংসার ঘটনা ঘটল কেন? কারণ এটা পূর্ব–পরিকল্পিতই ছিল।’
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংꦏক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাꦿইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন: ‘নেতড়া ভাইপোর কেন্দ্র’, অমি♛ত মালব্যের টুইটে আবার ভুল, শুধরে খোঁচা দ🌸েবাংশুর
ঠিক কী বলছেন কুণাল ঘোষ? পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যা হয়েছে সেটা বিরোধীরা টার্গেট করেই করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে বিজেপি বলে অভিযোগ তাঁর। গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে এবং তার ফলে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এতগুলি জেলায় তো উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বলেই এমন সন্ত্রাস করেছে বিরোধীরা। যত পরিমাণ ছাপ্পা হয়েছে বলে বিজেপি দাবি করেছেཧ তাতে তো ৯৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা। সেখানে ৫৪ শতাংশ পড়ল কেন? আসলে একটা রব তুলে বাংলাকে খাটো করার প্রচেষ্টা। নিজেরাই সন্ত্রাস করছে। আবার নিজেরাই অভিযোগ করছে। আসলে শুভেন্দু অধিকারী চরম মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই ♚দরজা দিয়ে বেরবার বদলে জানালা দিয়ে বেরতে চেষ্টা করছে।’